খুলনা, বাংলাদেশ | ২৫শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৮ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

  মোল্লাহাটে দু’গ্রুপের সংঘর্ষে একজন নিহত, আহত অর্ধশতাধিক
  আ. লীগের দু’নেতার আধিপত্য নিয়ে সংঘর্ষ, ওসিসহ আহত ৫০
  ত্যাগের মহিমায় সারা‌দে‌শে উদযাপিত হচ্ছে প‌বিত্র ঈদুল আজহা, ঈদের জামাতে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় মোনাজাত

পবিত্র হজের জানা অজানা ইতিহাস

গেজেট ডেস্ক

মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে এ বছর মাত্র দশ হাজার মুসলমান পবিত্র হজ পালন করতে পারবেন বলে সৌদি কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ সিদ্ধান্তকে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত বলে স্বাগত জানিয়েছে মুসলমান দেশগুলো।

ইতিহাস থেকে জানা যায়, এর আগেও বেশ কয়েকবার মহামারীসহ নানা কারণে সীমিত পরিসরে হজ পালিত হয়। কয়েকবার তো হজই অনুষ্ঠিত হয়নি। আসুন ইতিহাসের পাতা থেকে জেনে নিই কবে কখন কী কারণে হজ পালনে বাধা এসেছিল।

কারবালার হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটে ৬৩ হিজরিতে। ইমাম হোসাইন (রা.) কে হত্যা করে ক্ষমতা পাকাপোক্ত করে নেয় ইয়াজিদ। ক্ষমতার শুরু থেকেই মক্কা-মদিনায় নির্মম গণহত্যা চালাতে থাকে পাপীষ্ঠ ইয়াজিদ। এর ঠিক দশ বছর পর ৭৩ হিজরি অর্থাৎ ৬৯৩ খ্রিস্টাব্দে খলিফা আবদুল মালিক বিন মারওয়ানের নির্দেশে হাজ্জাজ বিন ইউসুফ বাইতুল্লাহ অবরোধ করে বসে।

সেখানে হজরত আবু বকর (রা.)-এর নাতি হজরত আসমা (রা.)-এর ছেলে আবদুল্লাহ বিন জোবায়ের (রা.) আত্মগোপন করেছিলেন। তিনি ছিলেন একজন ন্যায়নিষ্ঠ সাহাবি। জালেম শাসকদের সামনে বিরোচিতভাবে সত্য উচ্চারণ করার অপরাধে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।

পাপীষ্ঠ মারওয়ান যখন জানতে পারল ন্যায়নিষ্ঠ এ সাহাবি কাবা শরিফে আত্মগোপন করে আছেন, তখন তাকে গ্রেফতার করার জন্য কাবাঘরে সাময়িক সময়ের জন্য তাওয়াফ এবং উমরাহ হজের কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়। শুধু তাই নয়, মারওয়ান কাবা শরিফের একাংশ ভেঙে ফেলে শুধু এ জন্য যে, ওই অংশ নির্মাণ করেছিলেন মজলুম সাহাবি হজরত আবদুল্লাহ ইবনে জোবায়ের (রা.)।

ইরাকের আব্বাসি শাসক ও মিসরে উবায়াদি শাসকদের দুর্বলতার সুযোগে কারামিয়া শাসকরা আরব উপদ্বীপের পূর্ব দিকে বাহরাইনে একটি রাষ্ট্র গঠন করে। তাদের বিশ্বাস ছিল, ‘হজ জাহেলি যুগের একটি নিদর্শন। হজ অনেকটা মূর্তি পূজার মতোই।’

তাই ইসলামের ফরজ বিধান হজ বন্ধ করতে কারামিয়া শাসকরা তৎপর হয়ে ওঠে। ৩১৭ হিজরি ৯৩০ খ্রিস্টাব্দ ছিল মুসলমানদের বেদনাদায়ক ইতিহাস। বাহরাইনের শাসক আবু তাহের কারামিয়া নেতৃত্বাধীন সেনাবাহিনী হাজিদের কাফেলায় আক্রমণ করে। অনেক নারী-পুরুষকে হত্যা করে এবং তাদের সম্পদ ছিনতাই করে। ইরাক ও সিরিয়া থেকে মক্কা আসার পথে তারা আতঙ্ক তৈরি করে। ফলে ৩১৭ হিজরি থেকে ৩২৭ হিজরি পর্যন্ত মোট দশ বছর হজের কার্যক্রম বন্ধ ছিল।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!