বোরো মৌসুমের আগে ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। বেড়েছে সরকারি ও বেসরকারি বীজের দামও। অনেক স্থানে বীজতলা শুরু হয়েছে। সামনে রোপনের জন্য কৃষি শ্রমিকের পারিশ্রমিক, সার, কীটনাশক ও ধান কাটার জন্য বড় অঙ্কের টাকা খরচ হবে। শুধু বীজ তলা তৈরিতে বিঘা প্রতি চারশ’ টাকা বেড়েছে। পুরো মৌসুম নিয়ে চিন্তিত কৃষির সাথে সংশ্লিষ্টরা।
আমন মৌসুমে বৈরী আবহাওয়ার কারণে জেলায় কাঙ্খিত উৎপাদন হয়না। ফলে চাষীরা বোরোকে প্রধান ফসল হিসেবে বেছে নিয়েছেন। গেল মৌসুমে ৬০ হাজার ১শ’২৫ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়। মৌসুমের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বৃষ্টি না হওয়ায় সেচ খরচ বেড়ে যায়। এছাড়া করোনাকালীন পরিবহন সংকট থাকায় কৃষক বোরো বাজারজাত করতে পারেনি। গেল মৌসুমের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এবার কৃষক কোমর বেঁধে নেমেছে।
হরিণটানা এলাকার কৃষক রুহুল আমিন ইতিমধ্যেই বীজতলা তৈরি করেছেন। বাড়তি দামের আশায় হরিণটানার উচু এলাকায় বীজতলা শুরু করেন। বীজতলায় বিঘা প্রতি খরচ হয়েছে ১২শ’ টাকা। গেল বছরে যে খরচ ছিল ৮শ’ টাকা। ৬৫ টাকার প্রতিলিটার ডিজেল এখন তাদের ৮০ টাকা করে কিনতে হচ্ছে।
বটিয়াঘাটা উপজেলার খাজুরতলা এলাকার কৃষক শেখ জাহাঙ্গীর সানা আট বিঘা জমি চাষ করেন। গেল বছরে ঐ জমিতে ২৮ হাজার টাকা খরচ হয়। এ বছর জ্বালানি তেল ও বীজের দাম বেড়েছে। কৃষি শ্রমিকের দামও বাড়বে। ধান উৎপাদন করতে এবার তার প্রতি বিঘায় দু’হাজার টাকা বেশী খরচ হবে বলে তার ধারণা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, খুলনার উপ-পরিচালক মো: হাফিজুর রহমান জানান, বোরোর উৎপাদন খরচ নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি। সরকারি বোরো বীজ সম্পর্কে তিনি অবহিত নন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে উৎপাদনের লক্ষমাত্রা অর্জিত হবে বলে তিনি আশাবাদী। জেলায় ৮০ হাজার কৃষক বোরো আবাদের প্রস্তুতি নিয়েছেন।
খুলনা গেজেট/ টি আই