যশোরের অভয়নগর উপজেলায় সরকারী নির্দেশনা অমান্য করে চলছে পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার। উপজেলা জুড়ে চটের ব্যাগ ব্যবহারে কোন সাড়া নেই। ধান ও চালের চাতাল, আড়ৎ, মুদি দোকান, বস্তার দোকানসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দেদারছে চলছে পলিথিন ব্যাগ ও প্লাস্টিকের ব্যাগ। ফলে দিন দিন বাড়ছে পরিবেশ দূষণ।
একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীরা অজুহাতে প্রশাসনের নাকের ডোগায় পলিথিন ব্যাগের মাধ্যমে ক্রয় বিক্রয় করছে। ভূষি, ধান, চাউল, আলু, আদা, মরিচ, খৈল, মৎস্য খাদ্যেই পলিথিনের ব্যাগ ব্যবহার হচ্ছে খেয়াল খুশিমত। লেবেল ছাড়াই সীমান্ত পথে আসা পলিথিনে ছেয়ে গেছে অভয়নগর উপজেলার বড় ছোট হাট বাজারগুলো।
পরিবেশ সুরক্ষায় নিবেদিত প্রাণ কবি সাদিক আজগর বলেন, দেশের মানুষের মধ্যে পরিবেশ ও সমাজের ভারসাম্য রক্ষার বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করতে না পারলে পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার কমানো সম্ভব হবে না।
মিজানুর রহমান বলেন, চটের ব্যাগে কোন সারের বস্তা পাওয়া যাচ্ছে না, বিভিন্ন গোডাউন থেকে পলিথিনের বস্তায় আসছে সার। সেভাবেই বিক্রয় করছে সাধারণ সার ও কীটনাশক ব্যবসায়ীরা। অভয়নগর, রাজঘাট , সুন্দলী, শ্রীধরপুর, মাগুরা বাজারে চটের ব্যাগের সাথে পলিথিন ব্যাগ বিক্রির মহোৎসব চলছে।
চেঙ্গুটিয়া বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শেখ রহমাতুল্লাহ জানান, আগে ব্যবহার করতাম প্লাস্টিকের ব্যাগ এখন চটের ব্যাগ ব্যবহার করছি। পরিবেশ ক্ষতি হোক চান না তিনি, তাই করছেন চটের ব্যাগ ব্যবহার। আরও জানান, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় প্লাস্টিকের ব্যাগ বর্জন করা প্রয়োজন। এ বিষয়ে গণসচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করছেন তিনি।
চটের ব্যাগ বৃদ্ধি হোক, বর্জন হোক পলিথিন প্লাস্টিকের ব্যাগের ব্যবহার, রক্ষা হোক পরিবেশ গড়ে উঠুক পলিথিন মুক্ত সমাজ। দাবি অভয়নগর উপজেলার সচেতন মহলের।
অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আমিনুর রহমান জানান, পাটের চট ব্যাগ ব্যবহার বৃদ্ধি ও পলিথিনের ব্যাগ ব্যবহার বন্ধের নির্দেশনা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে বিভিন্নস্থানে অভিযান পরিচালনা করে পলিথিন ব্যাগের ব্যবহারে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এছাড়া চটের ব্যাগ ব্যবহারের জন্য গণসচেতনতা বাড়ানো হচ্ছে। তিনি আরও জানান, আগের থেকে চটের ব্যাগ ব্যবহার অনেকাংশেই বৃদ্ধি পেয়েছে। উপজেলার কোথাও পলিথিন ব্যাগ ব্যবহারের সন্ধান পেলে তাৎক্ষনিক অভিযান চালানো হবে বলেও জানান । এজন্য সকলের সহযোগিতাও চেয়েছেন তিনি।
খুলনা গেজেট/ টি আই