আজ শেষ হচ্ছে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ যাত্রা। দুবাইয়ে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অজি অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ, ব্যাটিংয়ে পাঠায় বাংলাদেশকে। অধিনায়কের সিদ্ধান্তটা যে ভুল ছিল না, সেটা প্রমাণ করছেন বোলাররা। অস্ট্রেলিয়ান বোলারদের তোপে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে মাত্র ৭৩ রানে গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ। টসে হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৫ ওভারে মাত্র ৭৩ রানে অলআউট হয়ে যায় টাইগাররা। ফলে ৭৪ রানের সহজ লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামবে অস্ট্রেলিয়া।
অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের সামনে ব্যাট হাতে দাঁড়াতেই পারেননি বাংলাদেশের ব্যাটাররা। আগের ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৮৪ রানে অলআউট হয়েছিল টাইগাররা।
বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) দুবাইয়ে টস জিতে বাংলাদেশকে প্রথমে ব্যাটিংয়ে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন অজি অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। তবে নাঈম শেখ ও লিটন দাসের উদ্বোধনী জুটি ভেঙে যায় প্রথম ওভারেই।
মিচেল স্টার্কের ১৪৪ কিলোমিটার গতির বলে বোল্ড হয়ে গোল্ডেন ডাকের শিকার হন লিটন দাস। ওয়ান ডাউনে ক্রিজে যান সৌম্য সরকার। পরের ওভারে দলীয় ৬ রানে বিদায় নেন তিনিও (৮ বলে ৫ রান)। তৃতীয় ওভারে দলীয় ১০ রানে মুশফিকুর রহিমকে (২ বলে ১ রান) এলবিডব্লিউ করেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল।
বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ তখন ধুঁকছে। নাঈম শেখ বলের সাথে পাল্লা দিয়ে রান তোলার পাশাপাশি দেখাচ্ছিলেন আশার আলো। তবে পাওয়ারপ্লেতে বিদায় নেন তিনিও। ১৬ বলে ১৬ রান করে ষষ্ঠ ওভারে প্যাট কামিন্সকে ক্যাচ তুলে দিয়ে শিকার হন জশ হ্যাহলউডের। আফিফ হোসেন ধ্রুব কোনো রান না করেই অ্যাডাম জাম্পার প্রথম ওভারে ক্যাচ তুলে দেন অ্যারন ফিঞ্চের হাতে।
৬.১ ওভারে ৩৩ রানে ৫ উইকেট হারালে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ দ্রুত ভেঙে পড়ার শঙ্কা জাগে। তবে বিপর্যয় সামাল দেওয়ার দায়িত্ব নেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও শামীম হোসেন পাটোয়ারি। তবে নিজের তৃতীয় ওভারে জোড়া উইকেট শিকার করে জাম্পা বাংলাদেশের আশার প্রদীপ নিভিয়ে দেন।
শামীম ১৮ বলে ১৯ রান করে ওয়েডকে ক্যাচ দেওয়ার পরের বলে এলবিডব্লিউ হন শেখ মেহেদী হাসান। রিভিউ নিয়েও গোল্ডেন ডাকের হাত থেকে বাঁচতে পারেননি। ৬৩ রানে পতন ঘটে ষষ্ঠ ও সপ্তম উইকেটের।
চাপের মুখে রিয়াদও থিতু হতে পারেননি। ১৮ বলের মোকাবেলায় দুটি চার হাঁকানো ১৬ রানের ইনিংস থামে ৬৫ রানে। জাম্পা তার চতুর্থ ও শেষ ওভারে শিকার করেন মুস্তাফিজুর রহমান (৯ বলে ৪ রান) ও শরিফুল ইসলামকে (২ বলে ০ রান)। ১৫ ওভারে বাংলাদেশের ইনিংস থামে ৭৩ রানে। ১১ বলে ৬ রান করে অপরাজিত থাকেন তাসকিন আহমেদ।
অজিদের পক্ষে জাম্পা একাই শিকার করেন পাঁচটি উইকেট, গড়েন ক্যারিয়ার সেরা ফিগার। দুটি করে উইকেট শিকার করেন মিচেল স্টার্ক ও জশ হ্যাজলউড। বাংলাদেশের পক্ষে ইনিংসের একমাত্র ছক্কা হাঁকান শামীম।
টি-টোয়েন্টিতে এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহ। সবচেয়ে কম রানের রেকর্ড নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২০১৬ বিশ্বকাপে। ইডেন গার্ডেনসে সেই ম্যাচে টাইগাররা ৭০ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল।
খুলনা গেজেট/এমএম