১.
রজনী পোহায়ে আকাশের তারাগুলো অকস্মাৎ প্রভাতী
শুভ্রতায় নিভে যায়।
প্রভুর দেয়া বয়সের নির্দিষ্ট সীমানায়, সময়ের ব্যবধানে
বার্ধক্য ঘনায়, কৈশোর যৌবন পেরিয়ে যায়।
নিঃশ্বাসে নিঃশ্বাসে বুকে, জীবনের গতিপথ কখন যে
থেমে যায়!
সকল ইচ্ছা মিটে না কভু, পার্থিব জীবনের নানাকিছু
অজানা থেকে যায়।
মুমিন মুসলমানের দীল খুলে পুণ্যার্জনে কুরআনী জ্ঞানের
আলোকিত স্বপ্নের সুশীতল ছায়ায়।
জীবন ও জীবিকায় স্রষ্টার অসীম কুদরত দৃশ্যমান জগতের
সুন্দর মহিমায়।
অবারিত দান, রহমত, বরকত, তাঁরই দয়ায়।
সকল-শান্তি-সুখ, ঈমানী সৌন্দর্য কেবল তাকওয়ায়
ভালোবাসা সুখ, হৃদয়ের বন্ধন, সকলি ত্যাগেরই
বাসনায়।
২.
বাৎসল্য প্রেম, আদর সোহাগ যত, স্নেহ-মমতার
দৃঢ় বন্ধন – চিরকাল সত্য জীবনের-নিষ্ঠা, সফল
-সাধনায়।’ – পিতৃমাতৃ স্নেহ-হৃদয়ের কোমলতায়।
জীবনের আনন্দ-উল্লাসে, বিলাসে, মোহাবেগে
-গোনাহে, শতো ভুলের ক্ষমা শুধু তওবায়, –
কাতরতায়।
দিবা-নিশি-ফরিয়াদ শুধু প্রভুর কাছে শতো –
কৃতজ্ঞতায় – ধৈর্য্য, সবরের মাঝে, জীবনের দুঃখ
-কষ্ট মিলায়।
৩.
আড়ম্বর জীবনের কীর্তি, স্মৃতি, যত-সব, বিলাস-সুখ
-হটাৎ দুনিয়া হতে’ মুছে যায়! একদা হৃদয় কাঁদে
বেদনায়!
নূর নবীজির (সা:) প্রেমে,-সত্য-সাধনায়,-আখিরাতের
শান্তি-সুখ খুঁজি আমি কায়োমনে, মুনাজাতে সালাতের
প্রার্থনায়।
ন্যায় ও ইনসাফ, সঠিক আমলে, ইসলামী জিন্দেগীর
-সকল-কল্যান। ‘সদা যেনো করি মোরা –
আল্লাহ- রাসূলের(সা:) গুনগান ।’-যতো সুনাম-যশ
তাঁরই দান । পার্থিব জীবন ক্ষণিক দ্রুতযান ।
জীবন সায়াহ্নে দয়াবান আল্লাহর কাছে; নিয়ত
-আরাধনায়,-প্রার্থনায়; ‘চাই তাঁর অবারিত দয়াদান’।
-পবিত্র নেককার, হতে চাই পুণ্যবান।
দুনিয়ার সহায়-সম্পদ, জীবনের চেয়ে নয়তো
এতো মূল্যবান – বার্ধক্য এলে-আখিরাতের
ভাবনায় অশ্রুজলে ভিজে যে বুক, দু’নয়ন ও প্রাণ।
রহমতে ভরুক দুনিয়া-জাহান, লভিতে যেনো
পারি আমি,-পবিত্র কুরআন হাদীসের পূর্ণ জ্ঞান
-জীবনের শপথে থাকি দীপ্তমান!
খুলনা গেজেট/ এস আই