এবারের টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে আসার আগে টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে খেলতে চেয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু বাছাইপর্বে এসোসিয়েট দলগুলোর সাথেই সেই অর্থে লড়তে পারেনি তারা। প্রথম রাউন্ডে স্কটল্যান্ডের কাছে হারার পর কোনমতে সুপার টুয়েলভে উঠলেও সেখানে টানা দুই হারে বড় ধাক্কা খেল বাংলাদেশের সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্ন।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অসহায় আত্মসমর্পণের পর এদিন সংবাদ সম্মেলনে আসেননি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। পাঠিয়েছেন তরুণ নাসুম আহমেদকে। যার হাত ধরেই এসেছে বাংলাদেশের প্রথম ছক্কা। বল হাতেও প্রথমে ইংলিশ শিবিরে আঘাত দিয়েছেন তিনি।
তরুণ নাসুম সংবাদ সম্মেলনের চাপটা ঠিক নিতে পারেনি। তাই তো বাধ্য হয়ে বাঁহাতি স্পিনার বলে দিলেন, ‘সবারই তো ইচ্ছে থাকে ভালো কিছু করার। চেষ্টা করতেছি, কিন্তু পারতেছি না। আসলে আমাদের দ্বারা হচ্ছে না। এটা আমাদের দুর্ভাগ্য।’
আবুধাবিতে খেলা শুরু হওয়ার আগে অনেকেই বলাবলি করেছে এই মাঠের উইকেটটা ঠিক মিরপুরের মত। কিন্তু নাসুম এই কথা মানতে রাজি না। তার উত্তর, ‘আসলে এখানকার উইকেট মিরপুরের মত না। এখানে স্পিনাররা টার্ন পাচ্ছিল না। কিন্তু চেষ্টা করছি যাতে ভালো করা যায়। ঐ চেষ্টাতেই ছিলাম এই রানেই যাতে ফাইট করতে পারি। হয়নাই আমাদের দ্বারা।’
দলের ব্যাটিং নিয়েও সোজাসাপ্টা উত্তর দেন টাইগার এই স্পিনার। এক প্রশ্নে নাসুম জানান, ‘প্রথম ছয় ওভারে আমরা রান তুলতে পারছিনা। এজন্য আমরা একটু পিছিয়ে যাচ্ছি। রান তুলতে পারছিনা সাথে উইকেটও যাচ্ছে। এজন্যই একটু সমস্যা হচ্ছে।’
টানা দুই হারে সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্নে ধাক্কা খেলেও নাসুমের বিশ্বাস এখনো অটুট আছে। জানালেন, ‘আমাদের আরো তিনটি ম্যাচ আছে। একটা ম্যাচ জিতলেই বাকি দুটোতেও জিততে পারবো।’
স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে হারের পর থেকেই সমালোচনায় বিদ্ধ টাইগাররা। প্রশ্নবাণে জর্জরিত নাসুম আহমেদ যেন সেটি নিয়ে ভাবছেনই না। তিনি জানালেন, ‘আসলে বাইরে কি হচ্ছে না হচ্ছে এসব নিয়ে আমরা এত ভাবতেছি না। আমরা পারফর্ম করবো কিভাবে ঐটা নিয়েই চিন্তা করতেছি। ঐভাবেই আমরা প্র্যাকটিস করছি।’