কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুর রশীদের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও দখলে রাখার অভিযোগে মামলা করেছেন সমন্বিত জেলা দুর্নীতি দমন কমিশন কুষ্টিয়া।
সোমবার বেলা ১১টায় কুষ্টিয়া জেলা দায়রা জর্জ সান্টায়ানার বিশেষ আদালতের বিচারক শেখ আবু তাহেরের আদালতে সমন্বিত জেলা দুর্নীতি দমন কমিশন কুষ্টিয়ার উপসহকারী পরিচালক নীল কমল পালের দেওয়া এজাহারটি বিজ্ঞ আদালত আমলে নিয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের কৌসুলি অ্যাডভোকেট আল মুজাহিদ হোসেন মিঠু।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১০-১১ থেকে ২০২০-২১ সাল পর্যন্ত সময়ে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুর রশীদ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ৩৩ লাখ ৯৫ হাজার ৩২৬ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন। যা দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ সালের ২৭(১) ধারা তৎসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অপরাধ।
সমন্বিত জেলা দুর্নীতি দমন কমিশন (সজেকা) কুষ্টিয়ার কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট আল মুজাহিদ হোসেন মিঠু মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, দুদকের সব মামলাই চূড়ান্তভাবে আদালতে দাখিলের পূর্বে নিবিড় পর্যবেক্ষণ ও বিচক্ষণতার সঙ্গে তদন্তকারী কর্মকর্তারা তদন্ত করেন।
শুধু তদন্তে সত্যতা প্রমাণিত হলে চূড়ান্ত মামলা হিসেবে আদালতে দাখিল করা হয়। এই মামলার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। সোমবার বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়েছেন। আদালতের আদেশ অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন সংশ্লিষ্ট দুদক কর্মকর্তারা।
সমন্বিত জেলা দুর্নীতি দমন কমিশন (সজেকা) কুষ্টিয়া কার্যালয় থেকে জানা যায়, কুমারখালী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে উল্লিখিত জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ ছাড়াও আরও কয়েক কোটি টাকার সম্পদের তথ্য রয়েছে, যেগুলো পর্যবেক্ষণ প্রক্রিয়াধীন বলে দুদক সূত্র নিশ্চিত করেছেন।
খুলনা গেজেট/এএ