জুভেন্তাসের মূল পরিকল্পনা এখন পাওলো দিবালাকে ঘিরেই। শেষ ম্যাচে পেয়েছেন গোলও। যদিও মিনিট দশেক পরই ইনজুরিতে মাঠ ছাড়তে হয়। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের আগামী ম্যাচেও তার না খেলা নিশ্চিত হয়েছে ইতোমধ্যে। এর ভেতরই ঘোষণা হয়েছে আগামী মাসের বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচগুলোর জন্য আর্জেন্টিনা স্কোয়াড। সেখানে আছে দিবালার নাম।
এদিকে ব্রাজিল ম্যাচে ‘ঝামেলার কারণ হওয়া’ ইংল্যান্ডের ক্লাবে খেলা সেই রোমেরো-মার্টিনেজদের নিয়েই আবার দল ঘোষণা করেছেন কোচ লিওনেল স্ক্যালোনি।
আগামী ৮ অক্টোবর প্যারাগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু আর্জেন্টিনার আন্তর্জাতিক ফুটবলের বিরতি। ১১ অক্টোবর উরুগুয়েকে আতিথ্য দেবে দলটি। এর তিন দিন পর ১৫ অক্টোবর ঘরের মাঠে পেরুর বিপক্ষে খেলবেন লিওনেল মেসিরা।
২৯ সদস্যের এই দলে জায়গা ফিরে পেয়েছেন ভিয়ারিয়াল ডিফেন্ডার হুয়ান ফয়েথ৷ মাঝমাঠে পরিবর্তন আসেনি। আক্রমণভাগে এসেছেন লুকাস আলারিও।
তবে সব ছাপিয়ে রোমেরো-মার্টিনেজদের নিয়েই আলোচনা হচ্ছে বেশি। চলতি মাসের শুরুতে ব্রাজিল নাটকের আগে পরেও তাদের ঝক্কি সামলাতে হয়েছে বেশ। ইংল্যান্ডের কঠোর করোনাভাইরাস নীতির কারণে ফেরার পর করতে হয় নিদেনপক্ষে দশ দিনের কোয়ারেন্টাইন। এ কারণে দলগুলো খেলোয়াড় ছাড়তে চায়নি। সে চোখরাঙানি এড়িয়েই আর্জেন্টিনার চার খেলোয়াড় গিয়েছিলেন দেশের হয়ে খেলতে। এরপর জরিমানাও গুণতে হয়েছে তাদের। ইংল্যান্ডের সে কঠোর নিয়ম শিথিল হয়নি এখনো। পরিস্থিতিতে পরিবর্তন না এলে আবারও তেমন কিছুর পুনরাবৃত্তির শঙ্কাটাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না আদৌ।
গোলরক্ষক- এমিলিয়ানো মার্টিনেজ, ফ্র্যাঙ্কো আরমানি, হুয়ান মুসো, এস্তেবান আন্দ্রাদা।
ডিফেন্ডার- গনজালো মন্তিয়েল, নাহুয়েল মলিনা, হুয়ান ফয়েথ, লুকাস মার্টিনেজ, লিসান্দ্রো মার্টিনেজ, হেরমান পেজ্জেলা, নিকলাস অটামেন্ডি, ক্রিশ্চিয়ান রোমেরো, নিকলাস টালিয়াফিকো, মার্কোস আকুনইয়া।
মিডফিল্ডার- লিয়ান্দ্রো পারেদেস, গিদো রদ্রিগেজ, নিকলাস ডমিঙ্গেজ, জিওভানি লো চেলসো, এজেকিয়েল পালাসিওস, রদ্রিগো ডি পল।
ফরোয়ার্ড- লিওনেল মেসি, আনহেল ডি মারিয়া, পাওলো দিবালা, লাওতারো মার্টিনেজ, আলেহান্দ্রো পাপু গোমেজ, নিকো গঞ্জালেস, আনহেল কোরেয়া, হোয়াকিন কোরেয়া, লুকাস আলারিও, জুলিয়ান আলভারেজ।