কাতার বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে বাংলাদেশ সময় রাত ১ টায় মুখোমুখি হয়েছে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা। কিন্তু ম্যাচ শুরু হতে না হতেই তুলকালাম বেধে যায়। ম্যাচের পঞ্চম মিনিটের মাথাতেই ঝামেলা তৈরি হয়। এক পর্যায়ে হাতাহাতি পর্যন্ত হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত খেলোয়াড়রা ড্রেসিংরুমে চলে যান। ফলে ম্যাচটি মাঝপথে বন্ধ হয়ে গেছে। এমনটাই জানিয়েছে,স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মার্কা।
ব্রাজিলের জাতীয় স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধান এজেন্সির একাধিক কর্তা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক সদস্যদের নিয়ে হানা দেন মাঠে। হুট করে মাঠে ঢুকে পড়েন মার্তিনেজ, রোমেরো ও লো সেলসোকে আটক করার জন্য। খেলোয়াড় ও স্বাস্থ্য সংস্থার কর্তাদের মধ্যে হাতাহাতিও হয়েছে। এই অভূতপূর্ব কাণ্ডের জন্য ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ম্যাচ স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে ম্যাচ স্থগিতের সংবাদ দিয়েছে আর্জেন্টিনার ফুটবল সংস্থা।
প্রথমে সব আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়দের সঙ্গে মাঠ ছেড়েছিলেন লিওনেল মেসি। তখনও মাঠে ছিলেন ব্রাজিলের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও খেলোয়াড়রা। সতীর্থদের ড্রেসিং রুমে রেখে একাই মাঠে ফেরেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। বেশ কিছুক্ষণ কথা বলার পর হতাশ ভাব দেখা যায় তার মধ্যে।
এসময় ব্রাজিলের স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে ঘটনাটি বিব্রতকর দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘এই ঘটনা খুব বিব্রতকর। আমরা ব্রাজিলে তিন দিন ধরে আছি। তখন কিছুই হয়নি।’
ব্রাজিলিয়ান হেলথ রেগুলেটরি এজেন্সির নির্দেশনা অনুয়ায়ী, ব্রাজিলিয়ান ছাড়া অন্য কেউ ব্রিটেন, উত্তর আয়ারল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারত থেকে ব্রাজিলে প্রবেশ নিষিদ্ধ। যাদের ছাড় দেওয়া হয়েছে, তাদের অবশ্যই দেশটিতে আসার পর ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।
কিন্তু এই নিয়ম মানা হয়নি আর্জেন্টিনার স্কোয়াডে থাকা চার ফুটবলার এমিলিয়ানো বুয়েন্দিয়া, এমিলিয়ানো মার্টিনেজ, জিওভানি লো চেলসো ও ক্রিশ্চিয়ান রোমেরোর ক্ষেত্রে। খেলা শুরুর আগে কিছু না বললেও ম্যাচের পাঁচ মিনিট পর মাঠে ঢুকেন ব্রাজিলের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। পরে কয়েক দফা আলোচনা করেও সমাধান মেলেনি। নেইমার-দানি আলভেজদের সঙ্গেও কথা বলেন মেসি। তারপরও শেষ অবধি ম্যাচ স্থগিত হয়ে গেছে।