বটিয়াঘাটা উপজেলার হোগলাডাঙ্গা গ্রামের মোঃ গোলাম রসুল হত্যা মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) তাদের বটিয়াঘাটা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে হত্যাকান্ডটি ঘটেছে বলে পুলিশের ধারণা।
গ্রেপ্তারকৃতরা হল, বটিয়াঘাটা উপজেলার জয়পুর আমতলা এলাকার গফ্ফার সানার ছেলে আজগর, একই এলাকার ইব্রাহীম খাঁর ছেলে বাপ্পি খাঁ ও বাঁশবাড়িয়া একতার মোড় এলাকার রুস্তম মাঝির ছেলে মিন্টু মাঝি।
আদালত সূত্র জানায়, ২৫ আগস্ট সন্ধ্যায় গোলাম রসুল শ্বশুর বাড়ির উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর সে আর বাড়ি ফিরে না আসার কারণে ভিকটিমের মা বটিয়াঘাটা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুর আড়াই টায় বটিয়াঘাটা উপজেলার বাঁশবাড়িয়া গ্রামের লক্ষীমাতা মন্দিরের সামনে টয়লেটের ট্যাংকির ভেতর থেকে বস্তাবন্দি গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। লাশের শরীরের বিভিন্ন স্থনে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পরে খবর পেয়ে ভিকটিমের মা সন্তানের লাশটি সনাক্ত করে। ভিকটিমের মা ৮ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন যার, নং ২।
মামলার এজহারে ভিকটিমের মা পূর্ব শত্রুতার কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি সেখানে আরও উল্লেখ করেন যে, গ্রেপ্তার হওয়া ও এজাহার নামীয় বাকী আসামিদের সাথে ভিকটিমের পূর্ব শত্রুতা ছিল। প্রায় তাকে এজাহার নামীয় আসামিরা ছোট ছেলে গোলাম রসুলকে গুম করে হত্যার হুমকি দিত।
বটিয়াঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ শাহাজালাল জানান, এজাহারে উল্লেখিত আসামিদের সাথে ভিকটিমের পূর্ব শত্রুতা ছিল। মামলাটি তদন্তনাধীন রয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে এখনও তারা হত্যাকান্ডের বিষয়ে মুখ খোলেনি। গ্রেপ্তার হওয়া আসামিদের বিরুদ্ধে রিমান্ডের আবেদন করে প্রেরণ করলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠিয়ে দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নুর ইসলাম জানান, আসামিরা হত্যাকান্ডের ব্যাপারে কোন তথ্য পুলিশকে দেয়নি। তবে রিমান্ডে নিলে দিতে পারে। হত্যাকান্ডের ব্যাপারে এলাকায় তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। মূল রহস্য খুব শিগগিরই বের হয়ে আসবে বলে তিনি খুলনা গেজেটকে জানিয়েছেন।
খুলনা গেজেট/এএ