পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মহানগরীর দৌলতপুরে মোঃ সাহেদের ওপর হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। তার অবস্থা আশংঙ্কাজনক হওয়ায় শুক্রবার রাতে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হয়েছে। থানায় মামলা হলেও পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। সন্ত্রাসীদের ভয়ে বাড়ি ছাড়া সাহেদের পরিবারের সদস্যরা।
এলাকাবাসি সূত্রে জানা যায়, চার বছর আগে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দিপ নামের একটি যুবকের সাথে তার বিরোধ হয়। দৌলতপুর থানা এলাকার পিরামিড হাসপতালের সামনে স্থানীয় বড় ভাইদের হস্তক্ষেপে সেই বিরোধ মিমাংশা হয়। গত শুক্রবার এ বিরোধ আবারও চাঙ্গা হয়। এ সময় সাহেদের মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেয় দিপ। তখন সাহেদ কিছু না বলে বাড়ি চলে আসে।
শুক্রবার রাতে মায়ের জন্য ওষুধ কিনতে ফার্মেসীতে যান সাহেদ। হামলাকারীরা তার পায়ের মাঝখানে মোটরসাইকেলের চাকা ঢুকিয়ে দেয়। পরে দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার শরীরে কোপাতে থাকে। মাথায় কোপ দেওয়ার সময় ঠেকাতে গিয়ে তার হাত ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
রাতে তার শারিরীক অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তাকে ঢাকায় নেওয়া হয়। তার ডান হাতের অবস্থা খুব খারাপ। শনিবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার অপরেশন চলছিল।
সাহেদের পিতা শুকুর শিকদার জানান, সাহেদ বিএল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ছাত্র। এক সময় দিপের সাথে তার ছেলের বন্ধুত্ব ছিল। দিপের সন্ত্রাসী ও মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের সাথে যোগাযোগ রয়েছে এটা বুঝতে পেরে সাহেদ তার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। গত ২০ আগস্ট তার ছেলের ওপর দিপ ও তার বাহিনী হামলা করে। সেদিনের বিষয়টি গুরুত্ব দিলে আজ সাহেদের অবস্থা এরকম হতো না। দিপ ও তার বাহিনীর ভয়ে তিনি বাড়ি ছাড়া।
দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ নজরুল ইসলাম জানান, এটি একটি পরিকল্পিত হামলা। ভিকটিমের পিতা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছ। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে আসামি যে হোক না কেন কোন ছাড় দেওয়া হবেনা। আসামি ধরতে গত রাত থেকে বিভিন্নস্থানে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার রাতে আন্জুমান রোডে খুলনা মহানগরীর দৌলতপুরের মোঃ সাহেদ (২৮) নামে এক যুবককে কুপিয়ে মারাত্নক আহত করে দুর্বৃত্তরা। সে ওই রোডের মোঃ শুকুরের ছেলে।
খুলনা গেজেট/ টি আই