শিশুশিল্পী হিসেবে মিডিয়ায় পথচলা শুরু দীঘির। গ্রামীণফোনের একটি বিজ্ঞাপন দিয়ে সেই সময়েই ব্যাপক সাড়া ফেলেন। এরপর চলচ্চিত্রেও দারুণ অভিনয়শৈলীতে মেলে ধরেন নিজেকে। এদিকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে শুটিং বন্ধ থাকায় অনেকদিন ঘরেই অবস্থান করেছেন দীঘি। তবে এখন আবার নিয়মিত হচ্ছেন এ অভিনেত্রী। এরইমধ্যে নির্মাতা শ্যাম বেনেগালের পরিচালনায় বঙ্গবন্ধুর বায়োপিকে কাজের জন্য তাকে মনোনীত করা হয়েছে।
দীঘি বলেন, আমাকে যখন অডিশনের জন্য ডেকেছে, তখনই এক্সাইটেড ছিলাম। আমি আসলেই কৃতজ্ঞ যারা আমাকে অডিশন দেয়ার সুযোগ দিয়েছেন। সবচেয়ে বড় কথা হলো অডিশন দেয়ার পরে তারা আমার ওপর বিশ্বাসটা রেখেছেন। আমাকে একটা বড় চরিত্র দেয়া হয়েছে। আমি জানি না, সেটার ভার নিতে পারবো কিনা। তবে নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করবো চরিত্রটা ভালোভাবে করার।
করোনার আগে থেকেই নিজেকে এই চলচ্চিত্রের জন্য প্রস্তুত করছেন বলে উল্লেখ করে দীঘি বলেন, লকডাউনের আগে থেকেই প্রস্তুতি নেয়া শুরু করেছিলাম। বেশকিছু বই পড়ে ইতিহাসটা জানার চেষ্টা করেছি। কিছু ভিডিও চিত্রও দেখেছি। এভাবেই নিজেকে প্রস্তুত করার চেষ্টা করছি। শাকিব খানের সঙ্গেই অধিকাংশ চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন এই দীঘি।
তার সঙ্গে কাজের ব্যাপারে কখনো কথা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনো শাকিব আংকেলের সঙ্গে চলচ্চিত্রে কাজের ব্যাপারে কথা হয়নি। একটা সময়ে আমি আর শাকিব আংকেল চাচা-ভাতিজি, বাবা-মেয়ে এই ধরনের চরিত্রে অভিনয় করেছি। জানি না তার সঙ্গে ছবি করলে দর্শক মেনে নিতে পারবেন কিনা। তবে চরিত্র বা গল্প দর্শক পছন্দ করবে ওই রকম যদি হয় তাহলে তার সঙ্গে কাজ করা যেতে পারে। অভিনয় শিল্পী সুব্রত-দোয়েল দম্পতির মেয়ে দীঘি শৈশবে গ্রামীণফোনের একটি বিজ্ঞাপনে অভিনয় করে রাতারাতি আলোচনার শীর্ষে উঠে আসে। বিজ্ঞাপনে তার মুখে ‘বাবা জানো, আমাদের ময়না পাখিটা না আজ আমার নাম ধরে ডেকেছে’ সংলাপটি ছড়িয়ে পড়ে মানুষের মুখে মুখে। কাজী হায়াতের ‘কাবুলিওয়ালা’ চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে শিশুশিল্পী হিসেবে সিনেমায় অভিষেক হয়। ৩০টিরও বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করা দীঘি তিনবার শিশুশিল্পী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন।
খুলনা গেজেট / এমএম