খুলনা, বাংলাদেশ | ২৫ আশ্বিন, ১৪৩১ | ১০ অক্টোবর, ২০২৪

Breaking News

  রিসেট বাটন বলতে ৭১ এর গর্বিত ইতিহাস নয় দূর্নীতিগ্রস্থ রাজনীতি মুছে নতুন সূচনার কথা বলেছেন ড. ইউনূস : প্রেস উইং
  পিরোজপুরে প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খালে পড়ে শিশুসহ ৮ জন নিহত
শনি-রবিবার বাড়ানো হয়েছে পয়েন্ট

খুলনায় টিসিবি’র পণ্য বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগ থামছে না

নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে টিসিবি’র নিয়মিত ট্রাক সেল পয়েন্টের পাশাপাশি নগরীতে আরও পাঁচটি পয়েন্ট বাড়নো হয়েছে। শনি ও রবিবার এ বাড়তি পয়েন্টে খাদ্য পণ্য বিক্রি করা হবে। এদিকে পণ্য বিক্রিতে ডিলারদের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ এনেছেন ক্রেতারা।

ট্রেডিং কর্পোরেশন অফ বাংলাদেশ খুলনার আঞ্চলিক কর্মকর্তা আনিসুর রহমান জানান, জাতীয় শোক দিবস উপলেক্ষ প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশে নিয়মিত পাঁচটি পয়েন্টের পাশাপাশি আরও পাঁচটি পয়েন্টে আজ ও রোববার খাদ্য পণ্য বিক্রি করা হবে। প্রতিটি ট্রাকে ৭ শ কেজি চিনি, ২ শ কেজি মশুরের ডাল ও ৭ শ কেজি তেল বিক্রি করার কথা। প্রতিকেজি চিনি ৫৫ টাকা, ডাল ৫৫ টাকা ও দু’লিটারের তেল ২ শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

২৬ জুলাই থেকে বাই রোটেশনে পাঁচটি ডিলারের মাধ্যমে নগরীর বিভিন্ন স্থানে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু হয়। সেল পয়েন্ট কম থাকায় স্বল্প সময়ের মধ্যে সব ডিলারের মাল ফুরিয়ে যায়। এ নিয়ে ক্রেতাদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। শনি ও রোববার দু’দিন অতিরিক্ত আরও পাঁচটি পয়েন্টে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু হয়েছে।

এ পয়েন্টগুলো হলো, নিরালা আর্দশ বিদ্যালয়, সোনাডাঙ্গা প্রি ক্যাডেট স্কুল, হ্যানে রেলওয়ে স্কুল, মুজগুন্নি খেলার মাঠ, হাজী মালেক কলেজ, শেখ আবু নাসের স্টেডিয়াম, দাদাম্যাচ স্কুল মাঠ, নিরালা নূরানিয়া মাদ্রাসা ও ছোট বয়রা আর্ট কলেজ মাঠ ।

এদিকে পণ্য বিক্রিতে নানা অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ তুলেছেন ক্রেতারা। অনিয়মের কারণে সকাল থেকে দাড়িয়েও মাল কিনতে পারছেন না অনেকে। নিরালা নূরানিয়া মাদ্রাসার সামনে ডিলার পয়েন্টের সামনে দীর্ঘক্ষণ দাড়িয়ে ছিলেন রেক্সোনা। তিনি অভিযোগ করে বলেন, “লাইনে দাড়িয়ে থেকে কিনতে পারেনি। অথচ পরে এসে অতিরিক্ত টাকার বিনিময়ে ডিলারের কাছ থেকে তেল ক্রয় করে নিচ্ছেন অনেকেই।”

ইয়াদ ফুয়াদ এন্টরপ্রাইজের মালিক এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এরকম কোন ঘটনাই তার জানা নেই। পরে ওই মহিলাকে তিনি এক বোতল তেল বের করে দেন। ডিলার এ প্রতিবেদককে সংবাদ পরিবেশন না করার জন্য অনুরোধ করেন।

এর কিছু দূরে রয়েছে নিরালা আর্দশ স্কুল মাঠ। সেখানে হিরা টেডিং এর মাধ্যমে চলছে খাদ্য পণ্য বিক্রি। সেখানে গিয়ে দেখা গেল একই অবস্থা। মুখ চিনে মাল দেওয়া হচ্ছে। পরে অচেনা মানুষ দেখলেই বলছে তেল নেই।

আইরিন, নিরালা আলম ম্যানসনের বাসিন্দা। ছেলেকে কোলে নিয়ে প্রচন্ড রোদে ঘন্টার পর ঘন্টা দাড়িয়ে ছিলেন। লাইন শেষ হয় না। ডিলারের পরিচিত এক মহিলা একের পর এক মাল নিচ্ছেন, যেন তার নেওয়া শেষ হয় না। শেষে আইরিন তেল ক্রয় করতে না পেরে বাড়ি ফিরে গেছেন।

নাসিমা বেগম আলকাতারা মিল এলাকার সবুজের বাড়ির ভাড়াটিয়া। তিনি নিরালা আর্দশ স্কুল মাঠ থেকে একাই তুলেছেন ১০ লিটার তেল। জানতে চাইলে জানান, পরিবারের সদস্য সংখ্যা অনেক তাই এত নেওয়া। বাকি মানুষের কথা জানতে চাইলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেনি।

ট্রাক সেল প্রতিনিধি এ বিষয়টি প্রথমে অস্বীকার করেন। তিনি বলেন টাকা গুনে মাল দেওয়া আমাদের কাজ। ব্যস্ততার মধ্যে যদি কেই একাধিকবার আসে তাদের চিনে রাখা আমাদের পক্ষে সম্ভাব নয়।

অপরদিকে হ্যানে রেলওয়ে স্কুল মাঠে খাদ্য পণ্য বিতরণ করেছে মেসার্স জামিরুল ট্রেডার্স। মালিক প্রতিনিধি মোঃ মিন্টু জানান, দুপুর ১২ টায় চিনি বাদে তাদের সব পণ্য বিক্রি হয়ে গেছে।

টিসিবির আঞ্চলিক কর্মকর্তা মোঃ আনিসুর রহমান জানান, পণ্য না পেয়ে অনেকেই অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের সত্যতা যাচাই করা হচ্ছে। সত্যতা মিললেই তাদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি আরও জানান।

খুলনা গেজেট/ টি আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!