খুলনা, বাংলাদেশ | ২৫ আশ্বিন, ১৪৩১ | ১০ অক্টোবর, ২০২৪

Breaking News

  রিসেট বাটন বলতে ৭১ এর গর্বিত ইতিহাস নয় দূর্নীতিগ্রস্থ রাজনীতি মুছে নতুন সূচনার কথা বলেছেন ড. ইউনূস : প্রেস উইং
  পিরোজপুরে প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খালে পড়ে শিশুসহ ৮ জন নিহত

ডুমুরিয়ায় শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কল্যাণ তহবিলের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

ডুমুরিয়া প্রতিনিধি

খুলনার ডুমুরিয়ায় শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কল্যাণ তহবিলের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। টিপনা আঙ্গারদোহা দাখিল মাদ্রাসা সুপার বাইজিদ হোসাইন শিক্ষার্থীদের নামে বরাদ্দকৃত টাকার অর্ধেক বরাদ্দ পেতে যোগাযোগ ও অফিস খরচ এর নামে কেটে নিয়েছে। ভুক্তভোগী অভিভাবকরা মাদ্রাসা পরিচালনা পর্ষদের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ করেছেন।

অভিভাবকরা জানান, তাদের সন্তানদের শিক্ষা সহায়তার অংশ হিসেবে ২৯ জুলাই মোবাইলের নগদ একাউন্টে ৫ হাজার টাকা আসে। রাতে মাদ্রাসা সুপার তাদের ফোন করে ওই টাকা বরাদ্দ পেতে খরচের কথা জানিয়ে আড়াই হাজার টাকা ফেরত দিতে বলেন। মাদ্রাসা পরিচালনা পর্ষদ সদস্য আলতাফ হোসেন মোড়লও তাদেরকে ফোন করে অর্ধেক টাকা ফেরত চান। পরে ৩১ জুলাই থেকে ৩ আগস্ট পর্যন্ত ১০ জন অভিভাবক মাদ্রাসায় গিয়ে সুপারের নিকট ২৫ হাজার টাকা ফেরত দেন। এ ঘটনা জানাজানি হলে এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়।

খর্নিয়া ইউপি সদস্য মোল্লা আবুল কাশেম জানায়, মাদ্রাসা সুপারকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান যারা টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন তাদের সাথে চুক্তি হয়েছে শিক্ষার্থীরা ১০ হাজার করে টাকা পেলে ৫ হাজার টাকা তাদেরকে দিতে হবে। সে হিসেবে শিক্ষার্থীরা ৫ হাজার টাকা পাওয়ায় তাদের নিকট থেকে আড়াই হাজার করে টাকা আদায় করা হয়েছে। কিন্তু এলাকায় ক্ষোভ তৈরি হয়। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেওয়া টাকা আপাতত সুপারের কাছে রাখতে বলা হয়েছে। এ ঘটনায় মাদ্রাসা সুপার বাইজিদ হোসাইন এর সাথে পরিচালনা পর্যদের সদস্য আলতাফ হোসেন মোড়লও জড়িত রয়েছেন।

এ বিষয়ে মাদ্রাসা সুপার মোঃ বাইজিদ হোসাইন বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কল্যাণ তহবিলের টাকা অনলাইনে আবেদনের মাধ্যমে পাওয়া গেছে। মাদ্রাসা কমিটির সদস্য আলতাফ হোসেন মোড়ল ওদের একজনের (মন্ত্রণালয়) সাথে চুক্তি করে টাকা এনেছেন। বিষয়টি নিয়ে ঝামেলা হলেও তা মিটে গেছে।

আলতাফ হোসেন মোড়ল জানায়, সুপারই আমাকে বলেছিলেন একটা মাধ্যম আছে। যার মাধ্যমে যোগাযোগ করা হলে এভাবে টাকা পাওয়া যাবে। তিনি যোগাযোগ করেছেন আমি সেই মাধ্যমে কাউকে চিনি না। আদায়কৃত সব টাকা সুপারের কাছে জমা রয়েছে।

এদিকে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী শিক্ষার্থীদের টাকা আত্মসাতের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শেখ ফিরোজ আহম্মেদ বলেন, বিষয়টি আমি জানি। তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!