খুলনা, বাংলাদেশ | ২৫ আশ্বিন, ১৪৩১ | ১০ অক্টোবর, ২০২৪

Breaking News

  রিসেট বাটন বলতে ৭১ এর গর্বিত ইতিহাস নয় দূর্নীতিগ্রস্থ রাজনীতি মুছে নতুন সূচনার কথা বলেছেন ড. ইউনূস : প্রেস উইং
  পিরোজপুরে প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খালে পড়ে শিশুসহ ৮ জন নিহত

লকডাউনের শেষ দিনে অনেকটা স্বাভাবিক খুলনা মহানগরী

নিজস্ব প্রতিবেদক

কঠোর বিধিনিষেধের শেষদিন আজ মঙ্গলবার খুলনা নগরীতে সাধারণ মানুষ, ব্যক্তিগত গাড়ি ও ব্যাটারী চালিত যানবহনের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। অধিকাংশ দোকানের অর্ধেক সাটার নামিয়ে চলছে বাণিজ্য। তবে বাস চলাচল করেনি।

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় গত বছরের ২৬ এপ্রিল থেকে দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা করা হয়। সেবার ৬৬ দিন দোকানপাটসহ সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। সংক্রমণ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলে সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যায়। এরপর এ বছরের এপ্রিল মাসের শুরুতে সংক্রমণের মাত্রা বেড়ে যায়। খুলনসহ সারাদেশকে লকডাউনের আওতায় আনা হয়। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জারি করা হয় একের পর এক বিধিনিষেধ। গৃহবন্দি হতে থাকে মানুষ। বন্ধ হতে থাকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। কাজের অভাবে আয় রোজগার না থাকায় কষ্ট বাড়তে থাকে খেটে খাওয়া মানুষের।

গত কয়েকদিনের বিধিনিষেধ আরোপ করার ফলে সংক্রমণের মাত্রা কিছুটা কমে গেছে। সকল বিষয় পর্যালোচনা করে সরকারের পক্ষ থেকে লকডাউন শিথিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যা বুধবার (১১ আগস্ট) থেকে কার্যকর হবে। খোলা হবে সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, যথারীতি চলবে গণ পরিবহন।

তবে আগেরদিন আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে নগরীতে যন্ত্রচালিত যানবাহন ও সাধারণ মানুষের উপস্থিতি ছিল ব্যাপক। বেলা বাড়ার সাথে সাথে তাদের সমাগমও দেখা যায়। অনেকেরই মুখে মাস্ক দেখা যায়নি। ছিলনা কোন সামাজিক দূরত্ব।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনের ফল বিক্রেতা শহিদুল ইসলাম জানান, গত বছরের লকডাউন থেকে এ পর্যন্ত বিভিন্ন এনজিও থেকে ৪০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছেন। এখনও সে টাকা পরিশোধ করতে পারেনি। সকাল থেকে তিনবার পুলিশের দৌড়ানি খেয়েছে। সর্বশেষ এখানে এসে বসেছে। কখন আবার পুলিশ আসে সে আতঙ্কে আছে।

পেঁয়াজ- রসুন বিক্রেতা আব্দুল জলিল জানান, তিনিও এক বছরে ৬০ হাজার টাকা ঋণী হয়েছেন। পরিবারের সদস্য সংখ্যা ছয়জন। পেট তো লকডাউন মানেনা। পেটের জ্বালা মেটাতে পুলিশের গালাগালি শুনতে হয়েছে। লকডাউন উঠিয়ে নিলে ব্যবসা বাণিজ্য ভালভাবে করা যাবে, এমন প্রত্যাশা তার।

ডাকবাংলা মোড়ের গেঞ্জি বিক্রেতা আবু বক্কর জানান, ৪ জন নিয়ে তার সংসার। লকডাউনের কারণে ব্যবসা বণিজ্য মন্দা গেছে। মানুষের কাছ থেকে চেয়ে চিন্তে দিন চলেছে। বুধবার থেকে সংকট কেটে যাবে বলে আশাবাদি এই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!