টানা তিন জয়ে সিরিজ পকেটে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে যে কোনো ফরম্যাটে প্রথম সিরিজ জয়। চতুর্থ ম্যাচে এসে হোঁচট। পঞ্চমে সুর বেঁধে আবারও হোক জয়গান, এটুকুই ছিল দিনের প্রার্থনা।
শেষ ম্যাচে জয় না পেলে বাংলাদেশের ইতিহাস গড়া সিরিজে যেন দাগ পড়ে যাবে। দাগ পড়তে দিল না মাহমুদউল্লাহ বাহিনী। রীতিমতো ধসিয়ে দিল অস্ট্রেলিয়াকে। বাংলাদেশের ছোড়া ৮ উইকেটে ১২৩ রানের টার্গেট পূরণ করতে গিয়ে অস্ট্রেলিয়া গুটিয়ে গেল মাত্র ৬২ রানে!
এমন ব্যাটিং বিপর্যয়ে আর কখনও পড়েছে কি অস্ট্রেলিয়া। এক ভয়ানক দুঃস্বপ্ন নিয়েই রাতের উড়োজাহাজে উড়বে অসিরা।
নিজেদের টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে সর্বনিম্ন রানের লজ্জায় পড়ল অস্ট্রেলিয়া। নিজেদের সেই ব্যর্থতার কথাই জানালেন অস্ট্রেলীয় দলের অধিনায়ক ম্যাথিউ ওয়েড।
ম্যাথিউ ওয়েড বললেন, ‘এটা বলতে খুবই কষ্ট হচ্ছে যে, আমাদের আরো পজিটিভ খেলার কথা ছিল। এখান থেকে অনেক কিছু শিখার আছে আমাদের। গত কয়েক বছর ধরে আমি খেলছি, কিন্তু টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের জন্য এমন দুর্বোধ্য কন্ডিশন আগে দেখিনি। দলের নবীনদের জন্য এ সফর বেশ শিক্ষণীয়। আসলে দুর্ভাগ্যক্রমে গোটা সিরিজটাই আমাদের পক্ষে গেল না। দলের ক্রিকেটাররা কম খেলেছে এমন অযুহাত দেখাতে চাই না। আমরা তো এই সফরের আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজে দারুণ খেলেছি। আমরা আসলে পারিনি। সমস্ত প্রশংসার দাবিদার বাংলাদেশই। তারাই ভালে খেলেছে।
আমাদের স্পিনাররা বেশ ভালো বল করেছে, কিন্তু বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা যেভাবেই হোক এই উইকেট থেকে ১১০-১২০ এর বেশি রান বের করে নিয়েছে। মিচেল মার্শ এই উইকেটে রান পাওয়ার চেষ্টায় সবসময়ই সংগ্রাম করেছে। আমরা আজ একেবারেই ভালো বল করতে পারিনি। আসলে আমরা যদি বোলিংয়ে তাদেরকে ১০-১৫ রান কম দিতে পারতাম, আর বাটিংয়ে ১০-১৫ রান বেশি করতে পারতাম তাহলে এতো বড় ব্যবধানে হারতাম না। এমন কন্ডিশনে খেলা বড় একটা চ্যালেঞ্জ। যদিও এই চ্যালেঞ্জ আমাদের জন্যই বেশি, বাংলাদেশের জন্য নয়। বাংলাদেশ দল খুবই ভালো খেলেছে। তাদের জন্য শুভকামনা।’