তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে খুন করা হয় নজরুল ইসলামকে। শনিবার (৭ আগস্ট) হত্যাকান্ডে নিজের অবস্থান ও দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি প্রদান করে এ মামলার ২ নং আসামি শেখ ইমন। স্বীকাররোক্তিমূলক জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ২ এর বিচারক নয়ন বিশ্বাস। সে ডুমুরিয়া উপজেলার হোগলাডঙ্গা ইউনিয়নের মাগুরঘোনা গ্রামের আশরাফ শেখের পুত্র।
ডুমুরিয়া থানার অফিসার ইন চার্জ ওবাইদুর রহমান জানান, গাছের একটি ডালকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকান্ডের সূত্রপাত ঘটে। বুধবার (৪ আগস্ট) বিকেলে মাগুরঘোনা গ্রামের স্থানীয় কবরখানার একটি গাছের ডাল নিয়ে নজরুলের স্ত্রী বিউটি বেগমের সাথে পাশ্ববর্তী আশরাফ শেখের স্ত্রী হালিমা বেগমের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে হালিমা বেগমের তিন সন্তান কিছু না বুঝে নজরুলের ওপর বাঁশ নিয়ে আক্রমণ করে। এ সময় তারা ভিকটিমের মাথার ওপর আঘাত করতে থাকে।
একসময়ে তিনি পুকুরে পড়ে গেলেও তারা আঘাত করতে থাকে। এ সময় বিউটি বেগম ও তার মেয়ে মুক্তা বাধা দিলে হালিমা বেগমের তিন সন্তান তাদের ওপর আক্রমণ করে। তাদের চিৎকারে পাশ্ববর্তী লোকজন ছুটে এলে তারা পালিয়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। রাত সাড়ে আট টার দিকে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ ব্যাপারে নিহতের স্ত্রী বিউটি বেগম বাদী হয়ে একই পরিবারের চার জনের নামে ডুমুরিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে, যার নং ৩।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই হাবিবউল্লাহ খুলনা গেজেটকে জানান, উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামি ইমন শেখকে শনিবার ভোর রাতে যশোর জেলার মনিরামপুর চালকিডাঙ্গা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সে তার খালা বাড়ি আত্মগোপন করেছিল। গ্রেপ্তারের পর থানায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার বিবরণ দেয়। সে স্বেচ্ছায় আদালতে জবানবন্দি দিতে চাইলে শনিবার দুপুরে তাকে আদালতে উপস্থিত করা হয়। নিহত নজরুল উল্লেখিত আসামিদের চাচা বলে তিনি জানিয়েছেন।
খুলনা গেজেট/এনএম/এমএম