খুলনা, বাংলাদেশ | ২৫ আশ্বিন, ১৪৩১ | ১০ অক্টোবর, ২০২৪

Breaking News

  পিরোজপুরে প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খালে পড়ে শিশুসহ ৮ জন নিহত

যশোরে টিকাকেন্দ্রে ছিল নারী-পুরুষের দীর্ঘ লাইন

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর

যশোরে করোনা টিকাদান উৎসবে অংশ নিয়েছে অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ। শনিবার (৭ আগষ্ট) জেলার ৯৩টি ইউনিয়নের একশ’টি কেন্দ্র ও পৌর এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে ৫৭ হাজার ২শ’ ২২ জনকে টিকা দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। বিভিন্ন উপজেলা এলাকায় টিকা গ্রহণে মানুষের ছিল স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি। ছিল নারী পুরুষের দীর্ঘ লাইন।

শনিবার সকাল ৯টা থেকে সারাদেশের ন্যায় যশোরেও গণটিকা কার্যক্রম শুরু হয়। মানুষ ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে টিকা কেন্দ্রে যায়। সবার একটিই চিন্তা ছিল, টিকা গ্রহণের মাধ্যমে পরাস্ত করবে করোনাকে! এ কারণে তালিকায় নাম ওঠার পরও যাতে আগে টিকা নেয়া যায় তার প্রতিযোগিতা শুরু হয়। কে কার আগে কেন্দ্রে ঢুকতে পারবে সেই চেষ্টাও করেন অনেকে। অবশ্য টিকাদান কেন্দ্রে তালিকায় নাম নেই এমন অসংখ্য মানুষ চলে আসেন। তারা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি মেম্বর ও কাউন্সিলরদের কাছে দেনদরবার করেন টিকা নেয়ার জন্য। বিভিন্ন কেন্দ্রে টিকা গ্রহণকারীরা লাইনে দাঁড়ালেও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখেননি। গাদাগাদি করে লাইনে দাঁড়ান। অনেকের মুখে মাস্কও ছিল না। বিশেষ করে নারীদের মুখে মাস্ক ছিল কম।

এদিন সকাল নয়টায় যশোরের জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান উপশহর ইউনিয়নের নিউটাউন বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। এ সময় তার সাথে ছিলেন সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন, ডেপুটি সিভিল সার্জন সাইনুর সামাদ, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এনএম মুনিম লিঙ্কন, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মীর আবু মাউদ, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন ও উপশহর ইউপি চেয়ারম্যান এহসানুর রহমান লিটু। কর্মকর্তারা নওয়াপাড়া ইউনিয়নসহ একাধিক কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।

স্বাস্থ্য বিভাগের পরিসংখ্যানে জানা যায়, এদিন জেলার ৯৩টি ইউনিয়নের একশ’ কেন্দ্রে ৫৭ হাজার ২শ’ ২২ জনকে টিকা গ্রহণ করেছেন। এরমধ্যে অভয়নগর উপজেলায় ৪ হাজার ৮শ’ ১ জন, বাঘারপাড়ায় ৫ হাজার ৩শ’ ৪০, চৌগাছায় ৬ হাজার ৫শ’ ৮৯, সদরে ৯ হাজার, যশোর পৌরসভা এলাকার ৯টি কেন্দ্রে ১ হাজার ৮শ’, ঝিকরগাছায় ৭ হাজার ১শ’ ৮৭, কেশবপুরে ৫ হাজার ৪শ’ ৩৭, মণিরামপুরে ১০ হাজার ২শ’ ৩৩ ও শার্শায় ৬ হাজার ৮শ’ ৩৫ জন টিকা গ্রহণ করেছেন। এদের মধ্যে ৫০ বছরের অধিক বয়সী ১২ হাজার ৯শ’ ৮৮ নারী ও ১৭ হাজার ৫শ’ ৮৩ পুরুষ এবং ৫০ বছরের কম বয়সী ১৩ হাজার ১শ’ ২৮ জন নারী ও ১৩ হাজার ৫শ’ ২৩ জন পুরুষ রয়েছেন। গণটিকা উৎসবে সিরিঞ্জ ব্যবহার করা হয় ৫৭ হাজার ৯শ’ ৭৫ টি। কেন্দ্রগুলোতে ছিলেন ৮শ’৪৬ জন স্বেচ্ছাসেবক।

কেন্দ্রের প্রতিটি বুথে দায়িত্ব পালন করেন তিনজন করে স্বেচ্ছাসেবক। সেই হিসেবে জেলার ২শ’ ৮২ টি বুথে ৮শ’ ৪৬ জন স্বেচ্ছাসেবক কাজ করেন। প্রতিটি ইউনিয়নে ছয়শ’ ও পৌরসভায় ১৮শ’ মানুষকে তালিকাভুক্ত করে এ টিকা দেয়া হয়েছে।

তালিকায় বয়স্ক ব্যক্তি, নারী ও প্রতিবন্ধীদের অগ্রাধিকার দেয়া হয় বলে স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়। অনেক জায়গায় দুপুর একটার মধ্যে টিকাদান কার্যক্রম শেষ হয়। আবার কোথাও কোথাও নির্ধারিত সময় বিকেল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত চলে। উল্লেখ্য, সারাদেশে ছয়দিনে ৩২ লাখ মানুষকে টিকাদান ক্যাম্পেইনের প্রথমদিন ছিল শনিবার।

এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন ডাক্তার শেখ আবু শাহীন বলেন, এদিন টিকাদান উৎসবে মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিয়েছে। কোথাও কোন সমস্যার বিষয় তাদের কাছে আসেনি। একদিনের বিশাল এ কর্মযজ্ঞ তারা সফলভাবে সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছেন বলে তিনি জানান।

খুলনা গেজেট/ এস আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!