খুলনা, বাংলাদেশ | ২৫ আশ্বিন, ১৪৩১ | ১০ অক্টোবর, ২০২৪

Breaking News

  পিরোজপুরে প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খালে পড়ে শিশুসহ ৮ জন নিহত

তিন ঘন্টায় ফুরায় খুলনার ৯৩ কেন্দ্রের গণটিকা

নিজস্ব প্রতিবেদক

সকাল থেকে হালকা বৃষ্টি উপক্ষো করে টিকা প্রত্যাশীরা কেন্দ্রে উপস্থিত হন। দীর্ঘ লাইনে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করে প্রতিকেন্দ্রে কমপক্ষে ২শ’ নারী পুরুষকে কাকভেজা হয়ে বাড়ি ফিরতে হয়। বেলা ১২ টার মধ্যেই আজকের গণটিকা ফুরিয়ে যায়। আগামীকাল টিকা পাবে কিনা নগরবাসী অনিশ্চিত, মিডিয়াকেও কর্তৃপক্ষ পরিষ্কার কোন ধারণা দেয়নি।

আজ সকাল থেকে নগরীর আকাশ ছিল মেঘাচ্ছন্ন। হালকা বৃষ্টির মধ্যে করোনা নির্মূলের মানষিকতা নিয়ে স্বামী-স্ত্রী, মা-মেয়ে দল বেধে কেন্দ্রে হাজির হন। কোথাও কোথাও দীর্ঘ লাইনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা। বেলা ১২ টার মধ্যে খবর আসে আজকের মত টিকা ফুরিয়ে গেছে। কাল আসবে কিনা তা অনিশ্চিত।

বৃহস্পতিবার নগরীর ৩১ টি ওয়ার্ডে কেসিসির স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে মাইকিং করে বলা হয় শনিবার থেকে শুধুমাত্র জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদর্শন সাপেক্ষে টিকা দেওয়া হবে। কেসিসির ঘোষণা মতে কেন্দ্রে এসে বিফল মনোরথে ফিরতে হয় অধিকাংশকে।

নগর স্বাস্থ্য ভবনে সকাল ৯টা থেকে দীর্ঘ লাইন। টিকা প্রত্যাশীদের হইচই। পুলিশ বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে পারছে না। লাইনে অপেক্ষার সংখ্যা প্রায় ২শ’। টিকা না পেয়ে নগরভবন থেকে বাড়ি ফিরেছে হাওয়া বেগম, নাজমা খাতুন, রাশিদা বেগম, নাসরিন খাতুন ও তাদের স্বামীরা।

২৩ নং ওয়ার্ডের অধিবাসী প্রশান্ত বিশ্বাসের স্ত্রী শর্মী বিশ্বাস, শিবপদ বিশ্বাসের স্ত্রী সাধনা বিশ্বাস, শেখ মুনসুর রহমানের স্ত্রী, সোনালী পারভীন, নিখিল সরকারের স্ত্রী কৃষ্ণা রানী সরকার, প্রশান্ত সরকারের পুত্র উত্তম সরকারসহ শতাধিক মানুষ সকাল ৯টা থেকে দাঁড়িয়ে ছিলেন গোলকমনি শিশুপার্ক কেন্দ্রে। এ কেন্দ্রে ২শ’ নারী পুরুষকে টিকা দেওয়ার পর দুপুর ১২ টা নাগাদ খবর আসে আজকের মত কর্মসূচি শেষ।

সবুরননেছা কেন্দ্রে ১২টার মধ্যে ২শ’ নারী পুরুষ টিকা গ্রহণ করে। অপেক্ষমান আরো ৫০ নারী পুরুষের স্বেচ্ছাসেবকরা ফিরিয়ে দেয়। শাসকদলের স্বেচ্ছাসেবকরা পরবর্তি টিকাদানের তারিখ সম্পর্কে টিকা প্রত্যাশীদের কিছু জানাতে পারেনি।

আলীয়া মাদ্রাসা কেন্দ্রে ২শ’ নারী পুরুষ টিকা নিয়েছে। বেলা পৌনে ১টা নাগাদ কর্মসূচী শেষ হয়। বাবু খান রোড, হাজী মহসীন রোড ও খানজাহান আলী রোডের শতাধিক মানুষ এ কেন্দ্র থেকে ফিরে যায়।

মিউনিসিপ্যালিটি ট্যাংক রোডের ২৯ নং ওয়ার্ড থেকে একই ওয়ার্ডের মিন্টু সরদার ও হাফিজুল হক টিকা পেয়ে খুব খুশি। দ্বিতীয় ডোজ সম্পর্কে তাদের কার্ডে লিপিবদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ টিকাদানকারীদের মধ্যে সন্দেহ, নির্দিষ্ট তারিখে দ্বিতীয় ডোজ টিকা পাওয়া যাবে কিনা।

সিটি কর্পোরেশনের মেডিকেল অফিসার স্বপন কুমার হালদার স্বীকার করেন, ৩ ঘন্টার মধ্যে সকল কেন্দ্রের টিকা ফুরিয়ে যায়। নগর ভবনে টিকা প্রত্যাশীদের বিশৃঙ্খলা সম্পর্কে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। রোববার টিকাদান অব্যাহত থাকবে কিনা তিনি এ সম্পর্কে নগরবাসী ও মিডিয়াকে নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেননি। তিনি নিশ্চিত করেছেন, নগর স্বাস্থ্য ভবনে ৪৫ হাজার ২শ’ ডোজ মর্ডানার টিকা মজুদ আছে।

খুলনা গেজেট/ টি আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!