খুলনা মহানগর বিএনপি নেতৃবৃন্দ এক বিবৃতিতে অভিযোগ করেছেন, খুলনা শহরের ৩১, ৩০, ২৯, ২৮, ২৭ ও ২৪ নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় প্রতি আমাবস্যা ও পূনির্মার জোয়ারের পানিতে পুরাতন শহর রক্ষা বাধ ও স্লুইজ গেট উপচিয়ে লবনাক্ত পানি প্রবেশ করে নগর ও নগরবাসির বাড়ি ঘর সয়লাব হয়ে দুঃসহনীয় পরিবেশের সৃষ্টি করছে। বিগত ৫/৬ বছর যাবৎ জোয়ারের লবনাক্ত পানি নগরীর ৬টি ওয়ার্ডের লক্ষাধিক মানুষের বাড়িঘর বসবাসের অনুপযোগি হয়ে পড়েছে। অথচ খুলনা সিটি কর্পোরেশন সে ব্যাপারে চরম উদাসিনতার পরিচয় দিচ্ছে।
শনিবার (২৪ জুলাই ) প্রদত্ত বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, সিটি কর্পোরেশনের অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থায় শহরের পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা অচল হয়ে ড্রেনের জমাট বাধা পানির সাথে যুক্ত হয়ে নগরবাসির বাসাবাড়িতে প্রবেশ করে নোংরা পরিবেশের সৃষ্টি করছে। ফলে বাসাবাড়ি মানুষের বসবাসের অনুপযুক্ত হয়ে পড়ছে। সে দিকে নজর না দিয়ে উন্নয়নের নামে রাস্তা উচু করার ফলে রাস্তার পানিও এখন মানুষের বাসাবাড়িতে প্রবেশ করছে। নদীর পানি. ড্রেনের পানির কারণে অধিকাংশ বাড়ির নিচতলায় এখন আর মানুষ বাস করতে পারছে না। ফলে অর্থিকভাবে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে নগরবাসি। আর এ ক্ষতির জন্য দায়ি একমাত্র খুলনা সিটি কর্পোরেশনের রাস্তা ও ড্রেনেজ নির্মাণে পরিকল্পনার অভাব।
বিএনপি নেতৃবৃন্দ বলেন, ১৯৭৭ সালে তৎকালিন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সরকার খুলনা শহর রক্ষা বাঁধ নির্মাণের প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেন। আর ১৯৯১ সালে তৎকালিন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সরকার পাইলিং ও জিও টেক্সাটাইল দিয়ে ব্লক তৈরি করায় গত ৪৫ বছর নগর সুরক্ষিত থাকলেও পরবর্তী সময়ে খুলনা শহর রক্ষা বাঁধের দিকে নজর না দেয়ায় খুলনা নগরী এখন হুমকির মুখে।
নেতৃবৃন্দ শহর রক্ষার্থে খুলনা সিটি কর্পোরেশন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডেকে সমীক্ষা করে দ্রুত সময়ের মধ্যে শহর রক্ষা বাধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।
বিবৃতিদাতা নেতৃবৃন্দ হলেন, খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুজ্জামান মনি, সাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা, মীর কায়সেদ আলী, শেখ মোশাররফ হোসেন, জাফরউল্লাহ খান সাচ্চু জলিল খান কালাম, সিরাজুল ইসলাম, এড. ফজলে হালিম লিটন, এড. বজলুর রহমান, এড. এস আর ফারুক, স ম আব্দুর রহমান, শেখ ইকবাল হোসেন, শেখ জাহিদুল ইসলাম, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, অধ্যাপক আরিফুজ্জামান অপু, সিরাজুল হক নান্নু, মো. মাহবুব কায়সার, নজরুল ইসলাম বাবু, আসাদুজ্জামান মুরাদ, এস এম আরিফুর রহমান মিঠু ও ইকবাল হোসেন খোকন প্রমুখ। প্রেস রিলিজ।
খুলনা গেজেট/এমএইচবি