গরম এবং আর্দ্রতায় শরীরের দফারফা হয়ে যাচ্ছে। বোলিং করার সময় থেকেই হ্যামট্রিংয়ের চোট ভোগাচ্ছিল। ব্যাটিংয়ের সময় সেই চোট আরও খারাপ হয়। তবুও সেটা উপেক্ষা করেই প্রশিক্ষক রাহুল দ্রাবিড়কে প্রথম ট্রফি এনে দিলেন দীপক চাহার।
প্রথমে বল হাতে ৫৩ রানে ২ উইকেট, পরে দলের প্রয়োজন অনুযায়ী ৮২ বলে অপরাজিত ৬৯ রানের ইনিংস। একা হাতে শ্রীলঙ্কাকে ৩ উইকেটে হারিয়ে দলকে এক ম্যাচ বাকি থাকতে একদিনের সিরিজ জেতালেন তিনি। স্বভাবতই হয়েছেন ম্যাচের সেরা।
শিখর ধবন, পৃথ্বী শদের ব্যর্থতার পর বেশ নাটকীয় ভাবেই ম্যাচ ঘুরিয়ে দিলেন চাহার। সঙ্গে পেয়েছিলেন ভুবনেশ্বর কুমারকে। অষ্ঠম উইকেটে এই দুজনের ৮৪ রানের জুটি বিপক্ষের সিরিজে সমতা ফেরানোর স্বপ্নকে মাটিতে মিশিয়ে দিল। সিরিজ জয়ের পরেই শিখর ধবনের দলকে অভিনন্দন জানালেন অধিনায়ক বিরাট কোহলী।
মঙ্গলবার টসে জিতে ব্যাটিং নেয় শ্রীলঙ্কা। দুই ওপেনার আভিস্কা ফার্নান্দো ও মিনোদ ভানুকা বেশ ভাল ভাবেই সামলাচ্ছিলেন। ৪২ বলে ৬টি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ৩৬ রান করেন ভানুকা। অর্ধ শতরান করে ভুবির বলে সাজঘরে ফেরেন ফার্নান্দো। কিন্তু এরপরেই ধস নামে মিডল অর্ডারে। আশালঙ্কা ছাড়া আর কেউই ক্রিজে টিকতে পারেননি।
যুজবেন্দ্র চহাল ৫০ রানে ৩ উইকেট নেন। দুটি করে উইকেট নেন ভুবি ও দীপক চাহার। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৭৫ রানে থেমে যায় শ্রীলঙ্কা।
তবে ভারতীয় ব্যাটিংয়ের শুরুটা মোটেও ভাল হয়নি। ১৩ রানেই আউট হন পৃথ্বী শ। ২৯ রান করেই ফেরেন ধবন। এরপর মণীশ পাণ্ডে (৩৭) সূর্যকুমার যাদব (৫৩), ক্রুণাল পাণ্ড্য (৩৫) লড়লেও একটা সময় ১৯৩ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় ভারত।
কিন্তু অষ্টম উইকেটের জুটি তফাত গড়ে দিল। বোলিংয়ের পর এ বার ব্যাট হাতেও দলকে বাঁচালেন চাহার ও ভুবি। আর এই জয়ের ফলে ২৩ জুলাইয়ের ম্যাচ নিয়ম রক্ষার হয়ে গেল। রাহুল দ্রাবিড়ের ছেলেরা এ বার শ্রীলঙ্কাকে হোয়াইটওয়াশ করতে পারে কিনা সেটাই দেখার।
খুলনা গেজেট/এনএম