গত ২৪ ঘন্টায় সাতক্ষীরায় নতুন করে পুলিশ ও আনসার সদস্য এবং স্বাস্থ্যকর্মীসহ ১৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় ১৯ জুলাই রবিবার পর্যন্ত মোট ৪৯৮ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। রবিবার সকালে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাব এবং খুলনা পিসিআর ল্যাব থেকে পাওয়া নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টে ১৯ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন সাতক্ষীরার স্বাস্থ্য বিভাগ।
নতুন করে করোনা আক্রান্তরা হলেন, সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের স্টাফ নার্স রুখসনা খাতুন (৩২) ও সারওয়ান (৪৯), সাতক্ষীরা পুলিশের বিশেষ শাখার (ডিএসবি) আসকার হোসেন (৩০), পুরাতন সাতক্ষীরা আনসার ব্যাটালিয়নের সদস্য সাজিদুল ইসলাম (৩০), পুরাতন সাতক্ষীরা জমিদারবাড়ি এলাকার সৈয়দ রনুজ্জামান (৩৭), জেলা পরিষদের কর্মচারী রেজাউল ইসলাম (৪৮), সাতক্ষীরা শহরের সুলতানপুর এলাকার শেখ আব্দুর রশিদ (৫২), উত্তর পলাশপোল এলাকার শাহাদাত আলী, সদর উপজেলার লাবসা গ্রামের ইসলাম উদ্দিন (৫৩), দেবহাটা উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের আব্দুর রশিদ সরদার (৬৬), দক্ষিন পারুলিয়া গ্রামের গোপাল চন্দ্র (৫৮), কলারোয়া উপজেলার ইলিশপুর গ্রামের আল আমিন (২৬) ও আসমা খাতুন (২২), তুলশিডাঙ্গা গ্রামের স্বপন (৪১), তালা উপজেলার উত্তর কদম তলা গ্রামের গোপাল ব্যানার্জী (৪৬), ইসলামকাটি গ্রামের আব্দুল হাই, পাটকেলঘাটা গ্রামের নাসের আলী, শ্যামনগর উপজেলার হায়বাতপুর গ্রামের আবুল হাসান (২৩) এবং ঢাকার মোহাম্মাদপুর শেখেরটেক এলাকার শ্যামলী হাউজিংয়ের আশরাফুল কবির জোয়াদ্দার (৪৩)।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডাঃ জয়ন্ত সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রবিবার পর্যন্ত এ জেলা থেকে মোট ৩ হাজার ২৫১ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়। ইতিমধ্যে ২ হাজার ৩৩৪ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট সিভিল সার্জন কার্যালয়ে এসে পৌছেছে। এর মধ্যে ৪৯৮ জনের করোনা পজিটিভ ও বাকীদের সব নেগোটভ রিপোর্ট এসেছে।
তিনি আরো জানান, ইতিমধ্যে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের বাড়ি লক ডাউন করা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এনএম