শ্যামনগর ও কালিগঞ্জ (আংশিক) নিয়ে গঠিত সাতক্ষীরা-৪ আসনে সকাল থেকে শান্তিপুর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ চলছে। কোথাও কোন অপ্রীতিকর পরিস্থিতির ঘটনা না ঘটলেও অধিকাংশ কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি তুলনামুলক কম।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে , সকাল আটটা থেকে ভোট শুরু হলেও বেলা দশটা পর্যন্ত কোন কোন কেন্দ্রে ৮০ থেকে ১৩০টি পর্যন্ত ভোট পড়ে। তবে বেলা বাড়লে ১২টা নাগাদ এসব কেন্দ্রে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত ভোট পড়ে। যদিও শ্যামনগরের খানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ১২টা পর্যন্ত ভোটার উপস্থিতি ছিল মাত্র ১৪ শতাংশ। তবে উপজেলার বাদঘাটা মডার্ণ স্কুল কেন্দ্রে বেলা ১২টা নাগাদ ৩৯১৪ ভোটের মধ্যে ভোট পড়ে ৯০৫াটি।
এদিকে সংসদীয় এ আসনের ১৪২ কেন্দ্রের কোথাও জাতীয় পার্টি কিংবা তৃণমুলসহ পাঁচ প্রার্থীর কোন পোলিং এজেন্ট দেখা যায়নি। এসব কেন্দ্রে প্রিজাংডিং অফিসারগণ জানান যে সকাল থেকে নৌকা, নোঙর ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর মিজানুর রহমানের পোালিং এজেন্টদের হাজির আছেন ।
এদিকে একই আসনের নকিপুর এইচসি সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নির্বিঘ্নে ভোটগ্রহণ নিশ্চিত করতে নানামুখী উদ্যোগ নেয়া হয়। গ্রামভিত্তিক ভোটারদের জন্য পৃথক কক্ষ নির্ধারণ করে চার্ট টানিয়ে ভোটদান কক্ষ শ্রেণীবিন্যাস করা হয়েছে। আবার ভোট প্রদান কার্যক্রম সহজ করতে কক্ষের সামনে বড় বড় আর্ট পেপার ঝুলিয়ে ক্রমিক নং ধরে ভোটারদের জন্য পৃথক পৃথক কক্ষ নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। এসব কেন্দ্রেগুলোতে বেলা একটা পর্যন্ত নারী ভোটারের উপস্থিতি বেশী থাকলেও নুতন ভোটারদের তেমন দেখা মেলেনি।
বাদঘাটা গ্রামের আল শাহরিয়ার জনি বলেন, মুলত প্রতিদ্বন্দ্বীতা না থাকায় তারা ভোট দিচ্ছে না। বড় বড় কয়েকটি দল নিবার্চনে না থাকায় ভোট প্রদানে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন বলে তার দাবি।
এদিকে নকিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৭৭ বছর বয়সী বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহিমকে পরিবারের সদস্যরা ধরাধরি করে ভোট কেন্দ্রে নিয়ে আসে। শারিরীক অসুস্থতা সত্ত্বেও ভোট দিতে পেরে তিনি খুুশি। এসময় তিনি বলেন, যুদ্ধ করতে যেয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করতে হয়েছে। তারপরও স্বাধীন দেশে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে এসেছেন স্বাধীনাতা বিরোধীদের প্রতি রাগ থেকে।
নৌকা প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউল হক দোলন বলেন, ভোটার উপস্থিতিতে তিনি খুশি। পরিবেশ শান্তিপুর্ণ থাকায় ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারায় নৌকা ভাল ব্যবধানে নোঙর প্রতীকের প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিজয়ী হবে বলে তার প্রত্যাশা।
খুলনা গেজেট/ এএজে