নিজের নেওয়া টিকার সনদপত্রের ব্যাচ নম্বর টিকা নিতে অনাগ্রহীদের কাছে অর্থের বিনিময়ে বিক্রি করাই ছিল তার উদ্দেশ্য। পরিকল্পনা অনুযায়ী সেই কাজ ভালোভাবেই চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু কাল হল, পর পর দু’দিন টিকার লাইনে দাঁড়ানো। ধরা পড়লেন ৯১তম বার টিকা নিতে গিয়ে। আর এই ঘটনা ঘটেছে জার্মানিতে। যিনি ধরা পড়েছেন তার বয়স ৬০।
পরে জানা যায়, একটি কিংবা দু’টি নয়; ওই বৃদ্ধ ইতিমধ্যে নিয়ে ফেলেছেন ৯০টি টিকা। একবার টিকা নেন, আর সেই টিকার সনদপত্রের ব্যাচ নম্বর টিকা নিতে আগ্রহী নয়, এমন লোকজনের কাছে বিক্রি করে নগদ টাকা নেন।
পূর্ব জার্মানির ম্যাগডেবার্গের বাসিন্দা ওই বৃদ্ধ তেমন কোনও কাজ করেন না। কিন্তু করোনার টিকা আবিষ্কার যেন তার কাছে শাপে বর হয়ে আসে। কারণ জার্মানিসহ উন্নত বিশ্বের অনেক দেশে টিকায় অনাগ্রহী লোকজনের সংখ্যা অনেক।
এই বিষয়টি নিয়ে ভাবতে গিয়ে নিজেই ডজন ডজন টিকা নেন ওই ব্যক্তি। আর প্রতিটি টিকার জন্য সনদপত্রে যে ব্যাচ নম্বরের উল্লেখ থাকে, তা টিকা নিতে অনাগ্রহীদের কাছে বিক্রি করতে থাকেন। এভাবেই বিভিন্ন টিকা কেন্দ্র থেকে ভিন্ন ভিন্ন কোম্পানির করোনার টিকা নিতেন তিনি।
তার এই জালিয়াতি ভালোভাবেই চলছিল। কিন্তু বিপদ হল, পর পর দু’দিন একই টিকাকেন্দ্রে টিকা নেওয়ার লাইনে দাঁড়িয়ে। মুখ চিনে ফেলায় তাকে আলাদা করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এতে ধরা পড়ে যান ৯১তম বার টিকা নেওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়ানো ওই জার্মান নাগরিক। কিন্তু ধরা পড়ে যাওয়ায় সর্বশেষ টিকাটি নেওয়া হয়নি তার।
এই জালিয়াতি প্রকাশ্যে আসার পরও পুলিশ তাকে আটক করেনি। তবে তিনি নিরাপত্তা বাহিনীর কড়া নজরদারিতে রয়েছেন। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত শহর ত্যাগে তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ওই ব্যক্তির কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে টিকা নেওয়ার ভুয়া কার্ড।
জার্মানির একটি সংবাদ সংস্থা বলছে, তদন্তে দেখা গেছে জার্মানিতে করোনার যেসব টিকা দেওয়া হচ্ছে, সেগুলোর প্রায় সব টিকাই নিয়ে ফেলেছেন ওই ব্যক্তি। তবে তিনবারের জায়গায় ৯০ বার টিকা নেওয়ায় তার শরীরে কী ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে, তা নিয়ে উদ্বেগে রয়েছেন চিকিৎসকরা।
খুলনা গেজেট/ এস আই