কাতার বিশ্বকাপ মাঠে গড়াতে আর মাত্র ১৮৯ দিন বাকি । ইতোমধ্যে উন্মোচন হয়ে গেল ফুটবলের সবচেয়ে বড় টুর্নামেন্টের ট্রফি। উন্মোচনের পর এবার শুরু হলো বিশ্বকাপ ট্রফির বিশ্ব ভ্রমণ।
গত বৃহস্পতিবার (১২ মে) দুবাইতে ট্রফিটি উন্মোচনের মধ্যে দিয়ে শুরু হয়েছে এই কার্যক্রম। প্রতি বারের মতো এবারও ট্রফি উম্মোচনের পর ফুটবল বিশ্বের বিভিন্ন দেশের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছে বিশ্বকাপ ট্রফি। মূলত সারা বিশ্বে খেলাধুলার শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষ্যেই এমন আয়োজন করে থাকে ফিফা। এর আগের চারটি বিশ্বকাপে এমন আয়োজন ছিলো। এবার মোট ৫১টি দেশ ঘুরবে বিশ্বকাপের ট্রফি।
বৃহস্পতিবার দুবাইতে ট্রফিটি উন্মোচন করেন দুই কিংবদন্তি ফুটবলার রিকার্ডো কাকা ও ইকার ক্যাসিয়াস। এই দুই জনের হাত ছোঁয়া ট্রফিটি ভ্রমণ করবে মোট ৫১টি দেশ।
ভ্রমণ কারি দেশগুলোর মধ্যে আসন্ন বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে খেলা ৩২টি দেশও আছে। এরপর ধীরে ধীরে আরও ১৯টি অঞ্চলের মানুষ দেখতে পারবে বিশ্বকাপের প্রতীক।
বিশ্বকাপ ট্রফির বিশ্ব ভ্রমণ উপলক্ষ্যে গ্লোবাল স্পোর্টস অ্যান্ড এন্টারটেইনমেন্ট মার্কেটিং-এর ভাইস-প্রেসিডেন্ট ব্র্যাড রস বলেন, ‘যেহেতু বিশ্বজুড়ে ফুটবল ভক্তরা তাদের দলকে সমর্থন করার জন্য প্রস্তুত। সে হিসেবে আমরা টুর্নামেন্টের আগে ভক্তদের ট্রফিটি উপভোগ করার সুযোগ দিতে পেরে রোমাঞ্চিত।’
এছাড়াও ফিফার চিফ বিজনেস অফিসার রোমি গাই বলেন, ‘ফিফা বিশ্বকাপ ট্রফি খেলাধুলার অন্যতম সেরা প্রতীক। এই সফর ফুটবল বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে চমৎকার বন্ধন সৃষ্টি করবে। ভ্রমণ শেষে ট্রফিটি আবার কাতারেই ফিরে আসবে। এই সফরের সঙ্গে যুক্ত থাকার জন্য কোকাকোলাকে ধন্যবাদ।’
ট্রফি উন্মোচন অনুষ্ঠানে সাবেক ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার কাকা বলেন, ‘কোকা-কোলার ফিফা বিশ্বকাপ ট্রফি ট্যুরের প্রথম ধাপের অংশ হওয়াটা অবিশ্বাস্য সম্মানের। একজন খেলোয়াড় হিসেবে আমার প্রথম ফিফা বিশ্বকাপ খেলি ২০ বছর বয়সে। এই স্মৃতি এখনও আমার মনে তাজা। আমার জন্য এটি একটি স্বপ্ন ছিল।’
স্পেনের বিশ্বকাপজয়ী সাবেক অধিনায়ক ইকার ক্যাসিয়াস বলেন, ‘এটা আমার ক্যারিয়ারের মাইলফলক ছিল যখন আমি ২০১০ সালে স্পেনের অধিনায়ক হিসাবে এই ট্রফিটি উচিয়ে ধরেছিলাম। ভাবতেই অস্থির লাগছে যে, এই বছরের শেষের দিকে কাতারে কেউ এমন অনুভূতি পাবে। আজ আপনাদের সকলের সাথে যোগ দিতে পেরে গর্ব বোধ করছি।’