খুলনা, বাংলাদেশ | ১২ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৭ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ভিসা আবেদনের জন্য মার্কিন দূতাবাসে গেছেন খালেদা জিয়া
  ধর্মকে কেন্দ্র করে দেশে এমন উন্মাদনা দেখতে চাই না : মির্জা ফখরুল
আদালতের নির্দেশে মালিককে হস্তান্তর

৩ মাস পর থানা থেকে মুক্তি পেল ভেড়া !

নিজস্ব প্রতিবেদক

তিন মাস খুলনা সদর থানায় থাকার পর আদালতের নির্দেশে মুক্তি পেয়েছে দুটি ভেড়া। বুধবার দুপুরে খুলনা মহানগর হাকিম তরিকুল ইসলামের উপস্থিতিতে ভেড়া দুটি মালিকের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। এ সময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।

গত ১৮ আগস্ট নগরীর মহেশ^রপাশা এলাকার খামার থেকে ৪টি ছাগল ও দুটি ভেড়া চুরি হয়ে যায়। ২১ আগস্ট ভেড়া দুটি উদ্ধার করে সদর থানা পুলিশ। চুরির ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়। বিষয়টি জানতে পেরে আদালতে ভেড়া ফেরত পেতে আবেদন করেন শাহীন শেখ। কিন্তু আদালত আবেদন নামঞ্জুর করেন। গত ৩ মাস অসংখ্যবার আবেদন করেও ভেড়া ফেরত পাননি তিনি।

এদিকে ভেড়া চুরির ঘটনায় জামিন পেয়ে মুক্ত হয়ে যায় চোর। কিন্তু ভেড়া থেকে যায় সদর থানা পুলিশের হেফাজতে। থানায় থাকলেও প্রতিদিন ১১ কিলোমিটার পথ দূওে গিয়ে ভেড়ার দেখাশোনা করতে হতো শাহীন। এনিয়ে অবর্নীয় দুর্ভেোগে দিন কাটিয়েছেন তিনি। থানার মধ্যেই ভেড়ার বাচ্চা প্রসব হয়ে মরে পড়ে ছিলো।

এনিয়ে নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে এনিয়ে সংবাদ প্রকাশ হলে বিষয়টি সবার নজরে আসে।  ওইদিনই খুলনার মহানগর দায়রা জজ আদালত থেকে ১৬ নভেম্বর ভেড়া ফেরতের আবেদনের শুনানীর দিন ধার্য করেন। বুধবার মহানগর দায়রা আজ আদালতে আবেদনটি গ্রহণ করে ভেড়া দুটি ফেরত দিতে নিম্ন আদালতকে নির্দেশ দেন। ওইদিনই খুলনা মহানগর হাকিম ভেড়া দুটি মালিককে বুঝিয়ে দেন।

দুপুরে ভেড়া ফেরত পেয়ে আদালত চত্বরে কেঁদে ফেলেন ভেড়ার মালিক শাহীন শেখ।  তিনি বলেন, অনেকের কাছে গিয়েছি, আদালতে এসেছি কেউ ভেড়া দুটি ফেরত দিতে পারেনি। থানায় থাকতে থাকতে ভেড়ার একটি বাচ্চা হয়ে থানাতেই মারা গেছে। সমকালে সংবাদ দেখেই সবাই বুঝতে পেরেছেন এদের মালিক আমি।

শাহীনের আইনজীবী মনিরুল ইসলাম পান্না বলেন, দেরিতে হলেও ভেড়ার মালিক ন্যায় বিচার পেয়েছে। এই ৩ মাসে তার যে ক্ষতি হয়েছে আদালতের উচিত তা প্রদানের ব্যবস্থা করা। ভবিষ্যতে নিরীহ ব্যক্তিরা যাতে এভাবে হয়রানীর শিকার না হয়-সেদিকেও দৃষ্টি দেওয়া উচিত।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!