দীর্ঘ ২০ বছর আত্মগোপনে থাকার পর অবশেষে র্যাবের অভিযানে গ্রেপ্তার হয়েছে একটি হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী মুকুল গাজী (৪৫)। শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর ) যশোর জেলার শার্শা থানার বাগআচড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত মুকুল গাজী সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার খলিশানী গ্রামের মৃত দাউদ গাজীর ছেলে। সে কালিগঞ্জের বাবু দাস হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী।
র্যাব-৬ সাতক্ষীরা ক্যাম্পের কমান্ডার মেজর গালিব জানায়, ভিকটিম বাবু দাসের সাথে আসামী মুকুল গাজীর মাছের ঘের নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছিল। পূর্ব বিরোধের জের ধরে গত ২০০০ সালের জুন মাসে বাবু দাসকে হত্যা করে বাড়ির পাশে বাশঁবাগানে ফেলে রাখে । হত্যার ৪ দিন পরে নিহত বাবু দাসের লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় নিহত বাবু দাসের বাবা বাদী হয়ে কালিগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার বিচারকার্য শেষে ঘটনার সত্যতা প্রমানিত হওয়ায় আদালত আসামী মুকুল গাজীকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে, আরও ৫ বছর সাজা প্রদান করেন। আদালতে রায় ঘোষণার সময় আসামি পলাতক ছিল।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী মুকুল গাজী আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে দীর্ঘ ২০ বছর যাবত দেশের বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে বেড়ায়। পরবর্তীতে র্যাব-৬ গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে উক্ত আসামীর অবস্থান নিশ্চিত করে।
র্যাব আরো জানায়, এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) র্যাব-৬ সাতক্ষীরা ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, উক্ত হত্যা মামলার অন্যতম আসামী মুকুল গাজী যশোরে আত্মগোপনে আছে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আভিযানিক দলটি যশোর জেলার শার্শা থানার বাগআচড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করে। আসামীকে আশাশুনি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিশ্বজিৎ অধিকারী ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আসামি মুকুল গাজীকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/ টিএ