খুলনা, বাংলাদেশ | ৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ১৯ মে, ২০২৪

Breaking News

  বাজারে থাকা এসএমসি প্লাসের সব ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস প্রত্যাহারের নির্দেশ, বাজারজাতকারীকে ১৬ লাক টাকা জরিমানা
  ৭ ব্যক্তিকে জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী
কেশবপুরের মজিদপুর দাসপাড়া

২০ বছরেও সংস্কার হয়নি সড়ক, চরম দুর্ভোগ

মেহেদী হাসান জাহিদ, কেশবপুর

কেশবপুরে মজিদপুর দাসপাড়া ইটের সোলিং সড়কটি দীর্ঘদিনেও পুণসংস্কার না হওয়ায় অসংখ্য খানাখন্দে চলাচলের অনুপযোগি হয়ে পড়েছে। সড়কটিতে হাটুপানি জমে থাকায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ওই পাড়ার শতাধিক ভ্যান চালকসহ স্কুল, কলেজ পড়–য়া শিক্ষার্থীদের। এ যেন দেখার কেউ নেই।

জানা গেছে, কেশবপুর শহর থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে মজিদপুর দাসপাড়া অবস্থিত। ওই পাড়ায় দেড়‘শ পরিবার বসবাস করেন। অধিকাংশ লোকজন পেশায় ভ্যান চালক ও দীনমজুর। মধু সড়কের মজিদপুর মোড় থেকে ওই পাড়ার ভেতর দিয়ে লগেন দাসের বাড়ি পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার একটি সড়ক রয়েছে। সড়কটি জনগুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় ২০০১ সালে কেশবপুরের সাবেক সংসদ প্রয়াত এএসএইচকে সাদেক রাস্তাটি ইটের সোলিংকরণ করেন। এরপর দীর্ঘ ২০ বছরে আর সংস্কার করা হয়নি। এছাড়া পাড়ার লোকজন ওই সড়ক দিয়ে ভারী যানবাহনে নির্মাণ সামগ্রী বহনকরার কারণে সড়কটি দেবে বর্তমান চলাচলের অনুপযোগি হয়ে পড়েছে। এছাড়া কেশবপুর সাগরদাঁড়ি সড়ক সংস্কারের জন্যে উঁচু করায় বর্তমান পানি নিষ্কাশন পথ বন্ধ হয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে।

ওই পাড়ার ভ্যান চালক অমল দাস জানান, সেই সরকারের দীর্ঘ সময়েও সড়কটি পাকাকরণ না হওয়ায় জনগণের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। পাড়ার ভ্যান চালক ও স্কুল, কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন খানাখন্দ ও হাটু পর্যন্ত কাদা ডিঙিয়ে মধু সড়কে উঠতে গিয়ে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

সংশ্লিষ্ট এলাকার মেম্বার আব্দুল আহাদ বলেন, সড়কটির বেহাল দশার কথা আমার অজানা নয়। করোনাকালে কোন বাজেট নেই। এরপরও যাতে সড়কটি দ্রুত সংস্কার হয় তার ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মজিদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর পলাশ বলেন, সড়কটি পুণসংস্কারের জেনেই ওই পাড়ার লোকজন আমার কাছে অভিযোগ করেছে। এই মুহূর্তে তার পরিষদে কোন বাজেট নেই। তবে এলাকার মেম্বার উদ্যোগ নিলে আমি সহযোগিতা করবো।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!