বলকানের নস্ত্রাদামুস খ্যাত বুলগেরিয়ার রহস্য নারী বাবা ভাঙ্গা মারা গেছেন ১৯৯৬ সালে। কিন্তু অন্ধ এই নারীর অনেক কথাই ফলে যাচ্ছে বছরের পর বছর ধরে। দাবি করা হয়—যুক্তরাষ্ট্রের টুইনটাওয়ারে সন্ত্রাসী হামলা, প্রিন্সেস ডায়ানার মৃত্যু, চেরনোবিল পারমাণবিক বিপর্যয় এবং ব্রেক্সিটের মতো আলোড়ন সৃষ্টিকারী বিভিন্ন ঘটনার ভবিষ্যদ্বাণী করে গিয়েছিলেন বাবা ভাঙ্গা।
এরই ধারাবাহিকতায় আসন্ন ২০২৪ সাল নিয়েও বাবা ভাঙ্গা ভবিষ্যদ্বাণী করে গিয়েছিলেন বলে দাবি করেন তার অনুসারীরা। রোববার এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতীয় এনডিটিভি।
বাবা ভাঙ্গার ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী, ২০২৪ সালে যেসব ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে সেগুলো মোটেও সুখকর নয়। ভবিষ্যদ্বাণী সত্যি হলে আসন্ন বছরটিতে বড় ধরনের সন্ত্রাসী হামলা থেকে শুরু করে প্রলয়ংকরী প্রাকৃতিক দুর্যোগের মতো অসংখ্য ঘটনা ঘটতে পারে।
২০২৪ সাল নিয়ে বাবা ভাঙ্গা যেসব ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তার কোনো সহকর্মীর দ্বারা গুপ্তহত্যা চেষ্টার শিকার হতে পারেন। ইউরোপে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা বাড়ার পাশাপাশি পরবর্তী বছরে বড় একটি দেশ জৈব অস্ত্রের ব্যবহার ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাতে পারে বলেও আশঙ্কা রয়েছে।
বাবা ভাঙ্গা উল্লেখ করেছেন, আসন্ন বছরে বিশ্বজুড়ে তীব্র আর্থিক সংকটের সৃষ্টি হবে যা বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলবে। এর ফলে ক্রমবর্ধমান ঋণের মাত্রা এবং ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনাও বাড়তে পারে। ঘটতে পারে প্রলয়ংকরী প্রাকৃতিক দুর্যোগের বেশ কিছু ঘটনা। সাইবার হামলাও মাথাচাড়া দেবে। গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো থেকে শুরু করে পাওয়ার গ্রিড, পানিশোধন প্ল্যান্টে সাইবার হামলা চালিয়ে কোনো কোনো দেশের জাতীয় নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে প্রশিক্ষিত হ্যাকাররা।
তবে আশাজনক কিছু বিষয়ও রয়েছে বাবা ভাঙ্গার ভবিষ্যদ্বাণীতে। সেগুলো সত্যি হলে আলঝেইমার এবং ক্যানসারের মতো বড় ধরনের রোগগুলোর নতুন চিকিৎসা পদ্ধতি চালু হতে পারে আসন্ন বছরটিতে। এ ছাড়া অগ্রগতি হতে পারে কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ে।
প্রসঙ্গত, বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুসারে বাবা ভাঙ্গা বুলগেরিয়ার উত্তর মেসিডোনিয়ার স্ট্রুমিকায় ১৯১১ সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। মাত্র ১২ বছর বয়সে একটি বড় ঝড়ের কবলে পড়ে তিনি নিখোঁজ হয়েছিলেন। কয়েক দিন পর পরিবারের সদস্যরা তাকে অন্ধ অবস্থায় খুঁজে পায়। বুলগেরিয়ার রাজধানী সোফিয়ায় মৃত্যু হয়েছিল এই রহস্য নারীর।
খুলনা গেজেট/এনএম