মণিরামপুরে মরণব্যাধি থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত ১৮ মাসের শিশু সন্তান মেজবাহকে বাঁচাতে খুলনা-যশোরসহ বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা করিয়ে সহায়-সম্বল হারিয়ে হতদরিদ্র পিতা হাফিজুর রহমান ও মা মরিয়ম বেগম সমাজের বিত্তবান এবং দানশীলদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন।
জানাযায়, শিশু মেজবাহ’র চিকিৎসা করতে নির্মাণ শ্রমিক হাফিজুর রহমানের কাছে কোন অর্থ না থাকায় সে দিন দিন মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ছে। তাকে প্রতি মাসে দু’ব্যাগ রক্ত দিতে হয়। দু’ সন্তানসহ ৪ সদস্যের পরিবার খেয়ে না খেয়ে কোন রকম অতিবাহিত হচ্ছে দরিদ্র হাফিজুরের। ঢাকা পিজি হাসপাতালের চিকিৎসক পরামর্শ দিয়েছেন, শিশু মেজবাহকে দ্রুত অপরেশন করতে হবে। এর জন্য ব্যয় হতে পারে প্রায় ৭ লক্ষ টাকা। নির্মাণ শ্রমিক হাফিজুর রহমান কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে জানান, সন্তানকে বাঁচানোর জন্য মানুষের নিকট থেকে ধার-দেনাসহ সাহায্য গ্রহণের পাশাপাশি ৪ লক্ষ টাকা খরচ করে সহায়-সম্বল হারিয়ে এখন নি:স্ব। কি করে এত টাকা জোগাড় করবো তা যানি না।
শিশু মেজবাহ’র মা মরিয়ম বেগম কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, আমার কলিজার টুকরাকে বাঁচাতে আল্লাহ’র রহমতের পাশাপাশি সকলের কাছে দোয়া ও সাহায্য কামনা করছি। মরণব্যাধিতে আক্রান্ত শিশু মেজবাহ মণিরামপুর উপজেলার শ্যামকুড় ইউনিয়নের আগরহাটি গ্রামের নির্মাণ শ্রমিক হাফিজুর রহমানের পুত্র। সাহায্য প্রদানের জন্য বিকাশ মোবাইল নং-০১৯১৪১৮৪৩১০.