খেলার মাঠে ভারত-পাকিস্তান মুখোমুখি হওয়া মানেই বাড়তি উত্তেজনা। এবার তেমনই এক ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ সরাসরি গ্যালারিতে বসে দেখার সুযোগ এসেছে বাংলাদেশে খেলাপ্রেমী মানুষের সামনে। প্রতিদ্বন্দ্বী দুই দেশ ঢাকায় মুখোমুখি হচ্ছে হকি মাঠে। সেটাও বাংলাদেশের ঐতিহাসিক এক দিনে। আগামী ১৬ ডিসেম্বর ঢাকার মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামে দেখা যাবে ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথ। চ্যাম্পিয়নস ট্রফি হকি সুযোগ করে দিচ্ছে দুই পরাশক্তির লড়াই উপভোগের।
করোনায় গত বছর স্থগিত হয়ে গিয়েছিল চ্যাম্পিয়নস ট্রফি হকি। অবশেষে টুর্নামেন্টটি আগামী মাসে ঢাকায় হতে যাচ্ছে। এশিয়ান হকি ফেডারেশন আজ প্রকাশ করেছে টুর্নামেন্টের সূচি। ১৬ ডিসেম্বর ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের দুই দিন আগেই শুরু হয়ে যাবে টুর্নামেন্টে। ১৪ ডিসেম্বর উদ্বোধনী দিনে দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ খেলবে মালয়েশিয়ার সঙ্গে।
পরদিন আবার ভারতের মুখোমুখি বাংলাদেশ দল। ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে বাংলাদেশ-দক্ষিণ কোরিয়া ম্যাচ। ১৮ ডিসেম্বর জাপানের মুখোমুখি হয়ে পরদিন পাকিস্তানের সামনে দাঁড়াবে স্বাগতিক বাংলাদেশ।
সাধারণত এশিয়ার শীর্ষ ছয় দল খেলে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে। তবে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো এই টুর্নামেন্টে সুযোগ পেয়েছে স্বাগতিক হিসেবে। এশিয়ায় এখন বাংলাদেশের র্যাঙ্কিং ৯।
প্রথমবারের মতো ঢাকায় অনুষ্ঠেয় চ্যাম্পিয়নস ট্রফি সামনে রেখে নানা প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ হকি ফেডারেশন। দেশের নিস্তরঙ্গ হকিতে নতুন প্রাণের সঞ্চার করবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি, এমনটাই আশা বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইউসুফের।
তাঁর কথা, ‘এশিয়ার সর্বোচ্চ হকি প্রতিযোগিতা ঢাকায় অনুষ্ঠিত হওয়া মানে এ দেশের তরুণেরা উৎসাহিত হবে। তার ওপর ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ হকিপ্রেমীদের জন্য বিশাল প্রাপ্তিই। আমরা তাকিয়ে আছি টুর্নামেন্টের দিকে।’
২৬ নভেম্বর মওলানা ভাসানী স্টেডিয়াম পরিদর্শনে আসছেন এশিয়ান হকি ফেডারেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তৈয়ব একরাম। এই সুযোগে অন্য সব সুযোগ–সুবিধাও দেখে যাবেন।
খুলনা গেজেট/এমএম