ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি ও ডিম ছাড়ার সুযোগ দিতে আগামী বুধবার (১৪ অক্টোবর) থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত এ ২২ দিন সারাদেশের নদ-নদীতে ইলিশসহ সবধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। গত ১৭ সেপ্টেম্বর মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করে। এসময়ে দেশব্যাপী ইলিশ আহরণ, বিপণন, পরিবহন, ক্রয়-বিক্রয়, বিনিময় এবং মজুতও নিষিদ্ধ থাকবে।
মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান সফলের লক্ষ্যে রবিবার (১১ অক্টোবর) দিবাগত রাতে খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেনের সভাপতিত্বে প্রস্তুতি সভা তার সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি বলেন, মা ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম ১৪ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত। ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য এই সময়টা সকলকে ইলিশ আহরণ করা থেকে সম্পুর্ণ বিরত থাকা উচিত। নিষিদ্ধ সময়ে ইলিশ আহরণ, বিপণন, পরিবহন, ক্রয়-বিক্রয়, বিনিময় ও মজুত ঠেকাতে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটদের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করা হবে বলেও জানান তিনি।
এসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জিয়াউর রহমান, জেলা মৎস্য দপ্তরের প্রতিনিধি, কোস্টগার্ড ও বিজিবি’র সদস্যগণ, বিভিন্ন মৎস্য সমিতির প্রতিনিধ এবং জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ।
উল্লেখ্য, প্রতিবছর আশ্বিনের ভরা পূর্ণিমার আগে-পরে মিলিয়ে মোট ১৫ থেকে ১৭ দিন হচ্ছে ইলিশের ডিম ছাড়ার আসল সময়। এসময় সাগর থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ নদীতে ছুটে আসে। এই সময়কে বিবেচনায় নিয়ে প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও মোট ২২ দিন ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এসময় ইলিশকে স্বাচ্ছন্দ্যে ডিম ছাড়ার সুযোগ দিতেই সরকার দেশের সব নদ-নদীতে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে।
ইলিশ ধরা বন্ধ থাকাকালীন সারাদেশের তালিকাভুক্ত জেলেদের ভিজিএফ সহায়তা দেয়া হবে। সরকারের নির্দেশ অমান্য করে কেউ যাতে এ সময় মাছ ধরতে নদীতে নামতে না পারে, সে জন্য নদ-নদীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতও পরিচালনা করা হবে।
খুলনা গেজেট/এআইএন