খুলনা, বাংলাদেশ | ৬ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২১ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ডেঙ্গুতে একদিনের ৯ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১ হাজার ২১৪

হেলিকপ্টার থেকে পড়ছে কাঁড়ি কাঁড়ি ডলার, সবাই ব্যস্ত কুড়াতে

চিত্র বিচিত্র ডেস্ক

কাঁড়ি কাঁড়ি ডলার পড়ছে আকাশ থেকে। সেগুলো সংগ্রহের জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন মানুষ। এ যেন রীতিমতো ‘ডলারের বৃষ্টি’।

সম্প্রতি চেক প্রজাতন্ত্রের লিসা নাদ লাবেম শহরের কাছে এমন দৃশ্য দেখা গেছে। দেশটির ইনফ্লুয়েন্সার ও টিভি উপস্থাপক কামিল বারতোশেকের উদ্যোগে হেলিকপ্টার থেকে ১০ লাখ ডলার ছড়ানো হয়।

বারতোশেকের ছদ্মনাম কাজমা। ছদ্মনামেই তিনি বেশি পরিচিত। শুরুতে কাজমার পরিকল্পনাটি ছিল ভিন্ন। তিনি ভেবেছিলেন, একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করবেন এবং শুধু একজন জয়ীকে ১০ লাখ ডলারের পুরোটা দিয়ে দেবেন।

ঘোষণা দেওয়া হয়, কাজমার চলচ্চিত্র ‘ওয়ানম্যানশো: দ্য মুভি’তে দেখানো কোডটির (সাংকেতিক ভাষা) অর্থ খুঁজে বের করতে হবে। ১০ লাখ ডলার পেতে প্রতিযোগীকে সেই কোড উন্মোচন করতে হবে। কিন্তু কেউই এর সমাধান করতে পারেননি।

এর পরই হেলিকপ্টার থেকে ডলার ছড়ানোর পরিকল্পনা করেন কাজমা। তিনি চিন্তা করেন, এর মধ্য দিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের সবার মাঝে অর্থ বিলিয়ে দেবেন।

এক ঘোষণায় বলা হয়, ‘কয়েক দিনের মধ্যে চেক প্রজাতন্ত্রের ওপর দিয়ে একটি কার্গো হেলিকপ্টার উড়ে যাবে। হেলিকপ্টারের তলার দিকে একটি কনটেইনারের ভেতর ১০ লাখ ডলার থাকবে।

কনটেইনারের নিচে থাকবে একটি দরজা। চেক প্রজাতন্ত্রের যে কোনো জায়গায় কনটেইনারটির দরজা খুলে যাবে। যারা তাদের কার্ড চালু করেছেন, তারাই শুধু কয়েক ঘণ্টা আগে জানতে পারবেন কখন ও কোথায় দরজাটি খুলবে।

একদিন সকাল ৬টার দিকে প্রতিযোগীদের কাছে ইমেইল করেন কাজমা। ইমেইলে এনক্রিপ্টেড করা তথ্যে বলা ছিল কোথায় কাজমা ডলারগুলো ফেলবেন। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, নির্ধারিত সময়ে নির্দিষ্ট জায়গায় হেলিকপ্টার থেকে ডলারগুলো ফেলেন তিনি।

নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে ভিডিওটি শেয়ার করেছেন কাজমা। এর ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন— বিশ্বে প্রথমবারের মতো সত্যিকারের ডলারের বৃষ্টি হলো! চেক প্রজাতন্ত্রে একটি হেলিকপ্টার থেকে ১০ লাখ ডলার নিচে ফেলা হয়েছে। এ ঘটনায় কেউ হতাহত হননি।

আকাশ থেকে যখন ডলারের বৃষ্টি ঝরছিল, তখন অনেক মানুষ মাঠে জড়ো হয়েছিলেন। এক ঘণ্টার কম সময়ের মধ্যে তারা প্লাস্টিকের ব্যাগে সব ব্যাংক নোট সংগ্রহ করেছিলেন।

অনলাইনে পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা গেছে, লোকজন ব্যাগ নিয়ে একটি মাঠের মধ্যে দৌড়াচ্ছেন এবং যতটা সম্ভব বেশি ডলার ভরার চেষ্টা করছেন। অনেকে সহজে অর্থ বহনের জন্য ছাতাও ব্যবহার করেছেন।

কাজমা জানান, চার হাজার মানুষ ওই অর্থগুলো সংগ্রহ করেছেন।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!