খুলনা মহানগর বিএনপি নেতৃবৃন্দ বলেছেন, স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর দিনে একদিকে যখন জনগণ মহান স্বাধীনতার দিবস পালন করছে তখন অন্য দিকে অবৈধ সরকার তার পুলিশ বাহিনী ও দলীয় নেতাকর্মি দ্বারা রাজপথে রক্ত ঝরিয়েছে। ২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর দিনে বায়তুল মোকাররমে জুমা নামাজের পরে একটি সংগঠনের শান্তিপূর্ণ মিছিলে বিনা উস্কাানিতে নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে এবং আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের হামলায় প্রায় ২ শতাধিক তরুণ মারাত্মকভাবে গুলিবিদ্ধ ও আহত হয়েছে। এর প্রতিবাদে হাটহাজারীতে শান্তিপূর্ণ মিছিলের ওপরে পুলিশের নৃশংস হামলা ও নির্বিচারে গুলি চালানোয় কমপক্ষে ৪ জন নিহত ও অসংখ্য আহত হয়েছে। একই সঙ্গে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এক জন নিহত হয়েছে।
স্বাধীনতা দিবসে হেফাজতে ইসলামের কর্মসূচিতে হামলা ও ৫ জনের মৃত্যুর ঘটনার গভীর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে শনিবার (২৭ মার্চ) বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, মহান স্বাধীনতা দিবসে ৫০ বৎসর পূরনের দিনে এই নৃশংশ হত্যাকান্ড জাতির জীবনে এক জঘণ্য কলংকজনক অধ্যায়। মিছিল, সমাবেশ সভা অনুষ্ঠান করা আমাদের সাংবিধানিক গণতান্ত্রিক অধিকার। এই জঘণ্য হত্যাকান্ডের মধ্য দিয়ে সরকার তাদের ফ্যাসীবাদী চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে। সরকার দীর্ঘ দিন ধরে নিজেদের অবৈধ ক্ষমতাকে ধরে রাখবার জন্য হত্যা, খুন, গুম নির্যাতনের মাধ্যমে বিরোধী দল এবং ভিন্নমতকে দমন করে চলেছে। সকল রাষ্ট্র যন্ত্র ব্যবহার করে কর্তৃত্ববাদী শাসন চিরস্থায়ী করতে অপচেষ্টা চালাচ্ছে প্রকারান্তরে এক দলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চায়।
বিবৃতিদাতা নেতৃবৃন্দরা হলেন খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুজ্জামান মনি, সাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা, মীর কায়সেদ আলী, শেখ মোশাররফ হোসেন, জাফরউল্লাহ খান সাচ্চু, জলিল খান কালাম, সিরাজুল ইসলাম, এড. ফজলে হালিম লিটন, এড. বজলুর রহমান, এড. এস আর ফারুক, স ম আব্দুর রহমান, শেখ ইকবাল হোসেন, শেখ জাহিদুল ইসলাম, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, শেখ আমজাদ হোসেন, অধ্যাপক আরিফুজ্জামান অপু, সিরাজুল হক নান্নু, মো. মাহবুব কায়সার, নজরুল ইসলাম বাবু, আসাদুজ্জামান মুরাদ, এস এম আরিফুর রহমান মিঠু ও ইকবাল হোসেন খোকন প্রমুখ।সূত্র : খবর বিজ্ঞপ্তি।
খুলনা গেজেট/কেএম