খুলনা, বাংলাদেশ | ১৩ মাঘ, ১৪৩১ | ২৭ জানুয়ারি, ২০২৫

Breaking News

  হত্যা মামলায় সালমান এফ রহমান ফের ৩ দিনের রিমান্ডে
  মারধর ও হত্যাচেষ্টা মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন চিত্রনায়িকা
  আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ক্লাস-পরীক্ষা স্থগিত

হানি ট্রাপ চক্রের ছয় সদস্য আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর

যশোরে ডিবি পুলিশের অভিযানে হানি ট্রাপ চক্রের ছয় সদস্য আটক হয়েছে। তারা নারীদের দিয়ে কৌশলে পুরুষদের ডেকে নিয়ে মুক্তিপণ আদায় করতো। শনিবার রাতে শহরের খালধার রোড এলাকার একটি ফ্লাট থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। একই সাথে ভিকটিমকেও উদ্ধার করে ডিবি পুলিশ। এসময় তাদের ব্যবহৃত তিনটি মোবাইল ফোনও উদ্ধার করেছে ডিবি পুলিশ। রোববার (২৬ জানুয়ারি) বিকেলে এক বিফিংয়ে ডিবি পুলিশ এ তথ্য জানিয়েছে।

আটককৃতরা হলেন, উপশহর বি ব্লক এলাকার আব্দুল মজিদের ছেলে ফাহিম হোসেন, বাহাদুরপুর গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে মেহেদী হাসান রাব্বী, মধুগ্রামের হারুন উর রশিদের ছেলে মারুফ হোসেন, শংকরপুর বাস টার্মিনার এলাকার শুকুর আলীর ছেলে ছাব্বির হোসেন, বেজপাড়ার মৃত মতিয়ারের ছেলে শাহরিয়ার হোসেন রোহান ও বেজপাড়া দিঘীরপাড় এলাকার মৃত অশোক কুমার দাসের মেয়ে লক্ষী রানী সরদার ওরফে রাবেয়া খাতুন।

ডিবির পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মঞ্জুরুল হক ভুঞা জানান, ঝিকরগাছার ফুলবাড়ি গ্রামের আশিকুর রহমান এ চক্রের ফাঁদে পড়ে। আশিকুরকে তারা অপহরণ করে পাঁচলাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরে আশিকুরের মা সালমা বেগম এ বিষয়ে ঝিকরগাছা থানায় অভিযোগ দেন। বিষয়টি পুলিশ সুপারের নির্দেশে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় ডিবিকে। পরে ডিবির এসআই আল মামুনের নেতৃত্বে একটি টিম তথ্য প্রযুক্তির সহযোগিতায় প্রথমে বিপুলের অবস্থান শনাক্ত করেন। এরপর ডিবির টিম রাত সাড়ে ১২ টায় শহরের খালধার রোড আমিনিয়া মাদ্রাসা এলাকা থেকে আসামি ফাহিমকে আটক করে ও ভিকটিম আশিকুরকে উদ্ধার করে। পরবর্তিতে জিজ্ঞাসাবাদে এসব বিষয় খুলে বলেন। একপর্যায় শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এ চক্রের অন্য পাঁচসদস্যকে আটক করে ডিবি পুলিশ।

পুলিশ আরও জানায়, মুলত লক্ষী রানী সরদার ওরফে রাবেয়ার সাথে আশিকুর পূর্বপরিচিত ছিলো। সেই সূত্র ধরে শনিবার দুপুরে আশিকুরকে যশোরে আনা হয়। পরে খালধার রোডের ওই ফ্লাটে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ওৎ পেতে বসে ছিলো অন্যরা। এরপর তাকে আটক করে ব্লাকমেইলের মাধ্যমে পাঁচলাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। এমনকি বিকাশের মাধ্যমে পাঁচ হাজার টাকাও হাতিয়ে নেয় এ চক্রের সদস্যরা।

ডিবি আরও জানায়, মুলত এ চক্রের কাজই মেয়েদের দিয়ে ছেলেদের কৌশলে ডেকে এনে ব্লাক মেইল করা। এছাড়া কৌশলে কোনো নির্জন রুমে নিয়ে মুক্তিপণ আদায় করা। অনেক সময় এ চক্রের সদস্যরা মোটা অংকের টাকাও হাতিয়ে নেয়।

খুলনা গেজেট/ টিএ




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!