খুলনা আটরা শিল্পাঞ্চল এলাকায় হাঁস মুরগির খামার করে স্বাবলম্বী হয়েছেন শরিফ ওবায়দুর রহমান চয়ন। খামারের করে পরিবারের আর্থিক স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে এনেছেন তিনি।
বাবা শরিফ সামছুর রহমান ব্যক্তি মালিকানাধীন বন্ধকৃত আফিল জুট মিলের মান নিয়ন্ত্রণ বিভাগের সহকারি কর্মকর্তা। মিলটি বন্ধ হওয়ার পর কর্মকর্তা সামছুর রহমান ছেলে মেয়ে নিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন। চরম মানবতার জীবন যাপন করতে হচ্ছিল তাদের। তখন তার বেকার ছেলে শরিফ ওবায়দুর রহমান চয়ন মাত্র ২০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে আফিল জুট মিলস শ্রমিক কলোনীতে ১ হাজার মুরগির বাচ্চা নিয়ে খামার শুরু করেন। বর্তমানে তাঁর খামারে রয়েছে ১৫০টি লেয়ার মুরগী, ৫ শত সোনালী মুরগি। প্রতিদিন প্রায় ১৫০/১৭০ টি ডিম উৎপাদন হয় তার খামার থেকে। যার বাজার মূল্য প্রায় ১ হাজার টাকা।
চয়ন শরীফ বলেন, বেসরকারি সংস্থা থেকে বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ নিয়ে এ ব্যবসায় আসি। মিলটি বন্ধ হওয়ায় চরম অর্থকষ্টে খেয়ে না খেয়ে দিনাতিপাত করেছি। বর্তমানে মুরগির খামার করে পিতা মাতা সহ পরিবারের মুখে হাসি ফুটিয়েছি এবং তাদের জীবন পাল্টে দিয়েছি। চয়নের সাথে তার স্ত্রী মাফিয়া বেগম সহযোগীতা করায় খামারটি দিন দিন বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে খামারটিতে রয়েছে লেয়ার মুরগী, সোনালী মুরগি, রাজহাঁস, পাতিহাঁস, চিনাহাঁস ও কবুতর।
ফুলতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া আফরিন বলেন, ‘সরকারি নানা উদ্যোগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বেসরকারি উদ্যোগে সাধারণ মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের এমন চেষ্টা প্রশংসনীয়।’ তিনি আরোও বলেন, এলাকার যুবকেরা এধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করলে বেকারত্ব দূরসহ এলাকার আইনশৃংখলা বজায় থাকবে।
খুলনা গেজেট/এনএম