ইহরাম করার নিয়ম:-
১. নখ কাটবে, বগল ও নাভির নিচের পশম মুন্ডাবে, সমস্ত শরীর উত্তম রূপে পরিস্কার করবে। (মুস্তাহাব)
২. উত্তমরূপে গোসল সম্পন্ন করবে। (মুস্তাহাব)
৩. অতঃপর নিজ শরীরে সুগন্ধি ব্যবহার করবে। (মুস্তাহাব)
৪. ইহরামের জন্য সাদা সেলাইবিহীন ২টি কাপড় পরিধান করবে, একটি লুঙ্গি আরেকটি জামা হিসেবে ব্যবহার করবে। যদি কোন ব্যক্তির সেলাইবিহীন লুঙ্গি পরিধানে সমস্যা হয়, তথা সতর অনাবৃত হয়ে যাওয়ার প্রবল আশঙ্কা হয়, সেক্ষেত্রে তার জন্য সেলাইকৃত লুঙ্গি পরিধানের সুযোগ আছে। তবে মহিলাগণ স্বাভাবিক কাপড় পরবে। (সুন্নাত)
৫. ইহরামের উদ্দেশ্যে দুই রাকাত নামাজ আদায় করবে। (সুন্নাত)
বি. দ্র. এই নামাযে প্রথম রাকাতে সূরা কাফিরুন এবং দ্বিতীয় রাকাতে সূরা ইখলাস পড়া মুস্তাহাব। মাকরূহ ওয়াক্তে এই নামায পড়বে না।
৬. মিকাত অতিক্রম করার পূর্বে ইহরাম বাঁধবে। (ওয়াজিব)
বি. দ্র. মিকাত মোট ৫টিঃ-
► মদিনার দিক দিয়ে যেই সমস্ত ব্যক্তিগণ মক্কায় আসবেন তাদের জন্য মিকাত হলো যুলহুলাইফা।
► ইয়ামানের দিক দিয়ে যেই সমস্ত ব্যক্তিগণ মক্কায় আসবেন তাদের জন্য মিকাত হলো ইয়ালামলাম।
► ইরাকের দিক দিয়ে যেই সমস্ত ব্যক্তিগণ মক্কায় আসবেন তাদের জন্য মিকাত হলো যাতু’ইরক।
► সিরিয়ার দিক দিয়ে যেই সমস্ত ব্যক্তিগণ মক্কায় আসবেন তাদের জন্য মিকাত হলো আল’যুহফা।
► নাযদের দিক দিয়ে যেই সমস্ত ব্যক্তিগণ মক্কায় আসবেন তাদের জন্য মিকাত হলো করনুল মানাজিল।
-সুনানে আবু দাউদ, হাদিস-১৭৩৯, ১৭৪১
উল্লেখ্য, মিকাত ও হরমের সীমানার মধ্যবর্তী স্থানকে পরিভাষায় ‘হিল’ বলা হয়। সেখানে অবস্থানরত ব্যক্তিবর্গের জন্য নিজ নিজ স্থান থেকে ইহরাম বাঁধা বিধিবদ্ধ। আর হুদুদে হরমে বসবাসকারী ব্যক্তিবর্গের জন্য উমরাহ এর ইহরাম বাঁধার ক্ষেত্রে হরমের সীমানায় (মসজিদে আয়িশা রা. অথবা জিরইয়ানা) এসে ইহরাম করতে হবে। হজ্বের ক্ষেত্রে নিজ নিজ স্থান থেকে ইহরাম করতে পারবে।
৭. ইহরামের নিয়ত করবে। (ফরজ)
اللهُمَّ إني أرِيْدُ الْحَجَّ أوِ الْعُمْرَةَ فَيَسِّرْهُ لِيْ فَتَقَبَّلْ مِنِّي
অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি হজ্ব/উমরাহ্ করতে চাই। আপনি আমার জন্য তা সহজ করে দিন এবং কবুল করুন।
৮. তালবিয়া পাঠ করবে। (ওয়াজিব)
لَبَّيْكَ اللّٰهُمَّ لَبَّيْكْ ، لَبَّيْكَ لآ شَرِيْكَ لَكَ لَبَّيْكْ، إنَّ الْحَمْدَ وَالنِّعْمَتَ لَكَ وَ الْمُلْكْ ، لآ شَرِيْكَ لَكْ
অর্থঃ আমি হাজির হে আল্লাহ! আমি হাজির! আপনার ডাকে সাড়া দিতে আমি হাজির। আপনার কোন অংশীদার নেই। নিঃসন্দেহে সমস্ত প্রশংসা ও সম্পদরাজি নেয়ামত আপনার এবং একচ্ছত্র আধিপত্য আপনার। আপনার কোন অংশীদার নেই ।
বি. দ্র. উমরাহর ইহরাম এর পর থেকে নিয়ে উমরাহর তাওয়াফ শুরুর পূর্ব পর্যন্ত এবং হজ্বের ইহরাম এর পর থেকে নিয়ে জামারাতে আকাবায় কংকর নিক্ষেপের পূর্ব পর্যন্ত পুরুষগণ উচ্চস্বরে এবং মহিলাগণ নিম্নস্বরে সর্বদা তালবিয়া পাঠ করতে থাকবে। একাধারে কমপক্ষে ০৩ (তিন) বার তালবিয়া পাঠ করা মুস্তাহাব।
হাদিস শরিফে আল্লাহর রসুল ﷺ ইরশাদ করেছেন-
يُلَبِّي الْمُعْتَمِرُ حَتَّى يَسْتَلِمَ الْحَجَرَ
উমরাহ আদায়কারী ‘হাজরে আসওয়াদ’ চুম্বন করা পর্যন্ত ‘তালবিয়া’ পড়তে থাকবে।
অপর এক হাদিসে এসেছে-
أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَبَّى حَتَّى رَمَى جَمْرَةَ الْعَقَبَةِ
রাসুলুল্লাহ ﷺ জামরাতুল আকাবায় কংকর নিক্ষেপ করার পূর্ব পর্যন্ত তালবিয়া পড়েছেন।
-সুনানে আবু দাউদ, হাদিস-১৮১৪, ১৮১৫, ১৮১৭
আরও পড়ুন
# হজ্ব পালনের সহজ পদ্ধতি (পর্বঃ ০২)
# হজ্ব পালনের সহজ পদ্ধতি (পর্বঃ ০১)
তাওয়াফ করার নিয়ম:-
১. তাওয়াফের নিয়ত করবে, জানাবাত থেকে পবিত্রতা অর্জন করবে ও অজু করবে। (ফরজ)
বি. দ্র. ঋতুমতী নারীর স্রাব চলা অবস্থায় তাওয়াফ করা নিষিদ্ধ, তাই এ অবস্থায় ইহরাম করলে পবিত্র হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবে। এ সময় যিকির-আযকার দুআ ইত্যাদিতে লিপ্ত থাকবে। তাওয়াফে জিয়ারতের ক্ষেত্রে ১২ তারিখ সূর্যাস্তের আগে পবিত্র হয়ে গেলে অবশ্যই এর ভেতরে তাওয়াফ সেরে নিতে হবে, যদি ১২ তারিখ সূর্যাস্তের ভিতর পবিত্র না হয় তাহলে পবিত্র হওয়ামাত্র আদায় করবে। এক্ষেত্রে বিলম্বের কারণে কোন জরিমানা আসবে না।
-আলবাহরুর রায়েক ৭/১২৭
২. হজরে আসওয়াদের কোণ থেকে তাওয়াফ শুরু করবে, প্রথমে নামাজের তাকবিরের মত কান বরাবর হাত উঠিয়ে ‘বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার’ বলে হাত ছেড়ে দিবে, প্রতি চক্করের শুরুতেই এভাবে তাকবির বলবে। অতঃপর প্রতি চক্করের শুরুতে হজরে আসওয়াদ কে চুম্বন করবে অথবা ঐ দিকে দুই হাত সম্মুখে প্রসারিত করে হাতে চুমু খাবে, যাকে ইস্তিলাম বলে। (সুন্নাত)
৩. পুরুষগণ ইজতিবা করবে, অর্থাৎ এহরামের পরিধেয় জামার কাপড়টি ডান বগলের নিচ দিয়ে নিয়ে গিয়ে বাম কাধের উপর রাখবে। (সুন্নাত)
৪. পুরুষগণ তাওয়াফের প্রথম ৩ চক্করে রমল করবে, অর্থাৎ পায়ের সম্মুখভাগে ভর দিয়ে কাধ দুলিয়ে বীরের মত স্বাভাবিকের চেয়ে একটু জোরে হাটবে। (মুস্তাহাব)
বি. দ্র. মনে রাখতে হবে, যে তাওয়াফের পরে সাফা-মারওয়া সায়ি করতে হয় তাতেই কেবল ইজতিবা ও রমল করবে, নফল তাওয়াফের ক্ষেত্রে ইজতিবা ও রমল নেই।
৫. কা’বা শরিফকে বামে রেখে কা’বার দিকে না তাকিয়ে মোট ০৭ (সাত) চক্কর দিবে এভাবে এক তাওয়াফ সম্পন্ন করবে। (সুন্নাত)
তবে তাওয়াফ শুরু করার পর কমপক্ষে ০৪ (চার) চক্কর আদায় করা ফরজ।
বি. দ্র. মক্কা শরিফে মোট ৪টি কোণ রয়েছে, এবং প্রত্যেকটির আলাদা নাম রয়েছেঃ-
(ক) রুকনে হজরে আসওয়াদ, (খ) রুকনে ইরাকি, (গ) রুকনে শামি, এবং (ঘ) রুকনে ইয়ামানি। তাওয়াফের সময় যেকোন দুআ পাঠ করা যায়, নিঃশব্দে যিকির ও কুরআনে পাকের তেলাওয়াতও করা যায়, তবে উত্তম হলো-
سبحان الله والحمد لله ولا إله إلا الله والله أكبر
পড়বে।
যখন রুকনে ইয়ামানি অতিক্রম করবে তখন সম্ভব হলে তা স্পর্শ করবে (রুকনে ইয়ামানিতে ইশারা ও ইস্তিলাম করবে না) এবং রুকনে হজরে আসওয়াদ পর্যন্ত এই দোয়া পড়বেঃ
ربنا آتنا في الدنيا حسنة وفي الآخرة حسنة وقنا عذاب النار
অভিজ্ঞতা- এমন কিছু জিকির আছে যেগুলো তাওয়াফের সময় আদায় করলে জিকিরের আমল হয়ে যাবে সাথে সাথে কত চক্কর হল এবং এখন কততম চক্কর চলছে তাও মনে থাকবে, ইনশাআল্লাহ। তবে এগুলোকে সুন্নত মনে করা যাবেনা।
প্রথম চক্করে سبحان الله পড়তে থাকা।
দ্বিতীয় চক্করে الحمد لله পড়তে থাকা।
তৃতীয় চক্করে لا إله إلا الله পড়তে থাকা।
চতুর্থ চক্করে الله أكبر পড়তে থাকা।
পঞ্চম চক্করে اللهم صل على محمد পড়তে থাকা।
ষষ্ঠ চক্করে لا حول ولا قوة إلا بالله পড়তে থাকা।
সপ্তম চক্করে أستغفر الله পড়তে থাকা।
৬. তাওয়াফের শেষে মাকামে ইব্রাহিমের পিছনে (অর্থাৎ মাকামে ইব্রাহিমকে সামনে রেখে) দুই রাকাত নামায আদায় করবে, যদি সেখানে সুযোগ পাওয়া না যায়, তাহলে মাসজিদে হারামের যে কোন স্থানে আদায় করে নিবে। (ওয়াজিব)
বি. দ্র. এই নামাযেও প্রথম রাকাতে সুরা কাফিরুন ও দ্বিতীয় রাকাতে সুরা ইখলাস পড়া মুস্তাহাব। মাকরূহ ওয়াক্তে এই নামায পড়বে না। -রদুল মুহতার ২/৪৯৯
৭. অতঃপর মুলতাজামে যাবে। কা’বার দেয়ালে মাথার ওপর দিয়ে হাত রাখবে, এবং সম্ভব হলে বুক দেয়ালের সাথে লাগিয়ে দিবে। খুব বিনয়ের সাথে কায়মনোবাক্যে দু’আ করবে।
উল্লেখ্য, হজরে আসওয়াদ ও বাইতুল্লাহ শরিফের দরজার মধ্যবর্তী স্থানকে মুলতাজাম বলা হয়। এখানে বিশেষভাবে দু’আ কবুল হয়। (মুস্তাহাব)
৮. কাবা শরিফের দিকে ফিরে তৃপ্তি সহকারে জমজমের পানি পান করবে। (মুস্তাহাব)
বি. দ্র. পানি পান করার সুন্নাত তরিকা হলো বসে পান করা। তবে এখানে এ ব্যাপারে স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে, চাইলে বসে পান করতে পারে, আবার চাইলে দাঁড়িয়েও পান করতে পারে। -খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/২৫, আলমুহিতুল বুরহানি ১/১৭৯
সাফা-মারওয়া সায়ি করার নিয়ম:-
১. জমজমের পানি পান করে কা’বা শরিফকে ডানে রেখে হজরে আসওয়াদের সম্মুখে উপস্থিত হবে, প্রথমে তাকবির বলবে, অতঃপর হজরে আসওয়াদ কে চুম্বন/ইস্তিলাম করবে। বাবুস সাফা দিয়ে সাফা পাহাড়ে আরোহণ করবে। (সুন্নাত)
বি. দ্র. সাফা পাহাড়ে আরোহণ করার সময় الله أكبر বলতে বলতে উঠবে, অতঃপর কা’বার দিকে ফিরে এই দুআ পড়বে-
لا إله إلا الله وحده لا شريك له له الملك وله الحمد يحيي ويميت وهو على كل شي قدير
উক্ত দুআ পাঠ শেষে চাইলে অন্য যেকোন দুআও করতে পারবে।
২. এরপর সাফা থেকে মারওয়া পর্যন্ত মোট ০৭ (সাত) বার স্বাভাবিকের চেয়ে একটু জোরে হাটবে, তবে মাঝখানে সবুজ বাতি দ্বারা চিহ্নিত করা স্থানে পুরুষগণ দৌড় দিবে। উক্ত স্থানে এই দোয়া পড়বে-
رب اغفر و ارحم و تجو از عما تعلم إنك أنت الأعز الأكرم
(সুন্নাত)
৩. সায়ি সাফা থেকে শুরু করে মারওয়াতে গিয়ে শেষ করবে। (ওয়াজিব)
ইহরাম অবস্থায় বর্জনীয় কাজসমূহ:-
১. পুরুষের জন্য শরীর বা শরীরের কোন অঙ্গের গঠন অনুযায়ী তৈরিকৃত বা সেলাইকৃত কাপড় পরিধান করা নিষিদ্ধ।
যেমন- পাঞ্জাবি, পায়জামা, গেঞ্জি, কোর্ট-প্যান্ট, টুপি ইত্যাদি। -সহিহ মুসলিম ১/৩৭২
২. পুরুষগণ মাথা ও মুখমণ্ডল আবৃত করবে না। ইহরাম অবস্থায় মহিলাদের জন্য পরপুরুষের সামনে চেহারা খোলা নিষেধ, তাই এ অবস্থায় এমনভাবে চেহারা আবৃত রাখা জরুরি যাতে মুখমণ্ডলের সাথে কাপড় লেগে না থাকে। (বর্তমানে এক ধরনের ক্যাপ পাওয়া যায়, যা পরিধান করে সহজেই চেহারার পর্দা করা যায়।) -সুনানে আবু দাউদ ১/২৫৪
৩. পুরুষের জন্য পায়ের পাতার উপরের উঁচু হাড় ঢেকে যায় এমন জুতা পরিধান করা নিষিদ্ধ। মহিলাদের জন্য ইহরাম অবস্থায় জুতা- মোজা পরার অবকাশ রয়েছে। এমনকি তারা হাত মোজাও ব্যবহার করতে পারবে। -রদুল মুহতার ২/৪৯০
৪. ইহরাম বাঁধার পরে সুগন্ধি ব্যবহার করবে না এবং সুগন্ধযুক্ত কোন প্রসাধনীও ব্যবহার করবে না। -সহিহ মুসলিম ১/৩৭৩; মুসান্নাফে আবি শায়বা, হাদিস-১৪৮৩৩
৫. নখ কাটা, শরীরের কোন স্থানের চুল, পশম কাটা বা উপড়ানো নিষেধ।
৬. স্বামী-স্ত্রীর বিশেষ সম্পর্ক স্থাপন করা বা স্ত্রীর সামনে এ সংক্রান্ত কোন কথা বা কাজ করা নিষেধ।
উল্লেখ্য, আরাফায় অবস্থানের পূর্বে স্ত্রীর সাথে মিলিত হলে হজ্ব নষ্ট হয়ে যায়, এক্ষেত্রে তাকে একটি দম দিতে হবে এবং পরবর্তী বছর উক্ত হজ্ব কাজা আদায় করা জরুরি। -ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/৪৬৬
৭. কোন বন্য পশু-পাখি শিকার বা শিকারীকে সহযোগিতা করা নিষিদ্ধ। তবে হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগল ইত্যাদি গৃহপালিত পশু যবেহ করতে কোন অসুবিধা নেই। -বাদায়েউস সানায়ে ২/৪২৬
৮. ঝগড়া-বিবাদ সাধারণ সময়েও নিষিদ্ধ। এহরাম অবস্থায় তা আরও ভয়াবহ।
৯. কাপড়, শরীর বা মাথার উঁকুন মারা নিষিদ্ধ। -ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২২৪
বি. দ্র. ইহরাম অবস্থায় মাথা ও মুখ ব্যতীত পূর্ণ শরীর চাদর ইত্যাদি দিয়ে আবৃত করা যাবে। কান, ঘাড় ও পা ঢাকা যাবে, মাথা ও গাল বালিশে রেখে শোয়া যাবে। তবে পুরো মুখমন্ডল বালিশের উপর রেখে ঢেকে শোয়া যাবে না। আর বিনা ওজরে পূর্ণ একদিন বা একরাত মাথা বা চেহারা ঢেকে রাখলে দম ওয়াজিব হবে।
-আল মানাসিক, মোল্লা আলী কারী পৃ. ৩০৮, ৩৯২
(চলবে ….. )
লেখক : ইমাম ও খতিব (অ.দা.), কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
খুলনা গেজেট/এএজে