মহামারী করোনা ও চীনের অতিরিক্ত ক্রয়ের কারণে আর্ন্তজাতিক বাজারে ভোজ্য তেলের সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে অভ্যন্তরীণ বাজার। তিন মাসে দেশে তেলের দাম হু হু করে বেড়েছে। গতকাল থেকে আবার নতুন মূল্য ধার্য করেছে তেল প্রস্তুতকারী সমিতি। নতুন দর নির্ধারণের ফলে বেকায়দায় পড়বে নিম্ন আয়ের মানুষ।
ভোজ্য তেলের দাম বৃদ্ধির জন্য বরাবরই আর্ন্তজাতিক বাজারকে দায়ী করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। তাদের দাবি সয়াবিনের মূল উৎস আর্জেন্টিনা, প্যারাগুয়ে, ব্রাজিল ও আমেরিকা। করোনাকালীন গত ১৪ মাসে এসব দেশে সয়াবিনের আশানুরূপ উৎপাদন হয়নি।
বাজারে আজ শুক্রবার সয়াবিন এক লিটার ১৩৮ টাকা বিক্রি হলেও দু’এক দিনের মধ্যে বর্ধিত দামে বিক্রি হবে। ব্যবসায়ীরা বলেছেন, এর আগেও একবার এ রকম মূল্য বেড়েছিল। ২০১২ সালের মাঝামাঝি সময়ে প্রতি লিটার উঠেছিল ১৩৫ টাকায়।
নগরীর খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, তিন মাস ধরে পর্যায়ক্রমে দাম বেড়েছে। এমনকি সরকারও তেলের দর নির্ধারণ করে দেয়। এখনও তারা পূর্বের বর্ধিত দরে বিক্রি করছেন। আগামীকাল শনিবার কোম্পানীগুলো নতুন দর নির্ধারণ করে দেবে, তখন আর পূর্বের দরে তেল বিক্রি করা সম্ভাব হবে না।
বাবু খান রোডস্থ রহমত স্টোরের মালিক জানান, তারা তেলের মূল্য বৃদ্ধির খবর জেনেছেন। বিভিন্ন কোম্পানীর প্রতিনিধিরা প্রত্যেক সপ্তাহে তেলের দাম বৃদ্ধির বিষয়টি আগাম জানিয়ে দেয়। নতুন দামের তেল এখনও আমদানি করেনি।
তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে বিপাকে পড়েছে সাধারণ মানুষ। চারজনের সংসারে মাসে পাঁচ লিটার সয়াবিন তেলের প্রয়োজন হয়। ফলে শুধু ভোজ্য তেলের জন্য সংসারে এখন বাড়তি ব্যয় হবে পঞ্চাশ টাকা ।
যদিও গত ফেব্রুয়ারিতে খুচরা বাজারে খোলা তেল প্রতি কেজি ১২০ টাকা এবং কোম্পানী ভেদে পাঁচ লিটারের প্রতিটি বোতল ৬২০ -৬৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। দর নির্ধারণ করার আগের সপ্তাহে এক লিটারের বোতল ১৩৮ টাকা ও কোম্পানী ভেদে পাঁচ লিটারের বোতল ৬৬০ -৬৯০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। দর পুননির্ধারণের পর লিটার ১৪৫ টাকা এবং পাঁচ লিটারের বোতল ৭২০ টাকা বিক্রি করতে হবে খুচরা বিক্রেতাদের।
খুলনা গেজেট/এমএইচবি