বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র-টিইউসি এবং সিপিবি নেতা আদমজী জুট মিলের শ্রমিক নেতা, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক নেতা, স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে শহীদ কমরেড তাজুল ইসলামের ৩৭তম হত্যা বার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র-টিইউসি খুলনা জেলা ও মহানগর কমিটির উদ্যোগে এক স্মরণসভা আজ বিকেল ৫টায় খুলনা মহানগরীর খালিশপুর থানা কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
সংগঠনের মহানগর সভাপতি রঙ্গলাল মৃধার সভাপতিত্বে এবং টিইউসি নেতা এস এম চন্দনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত স্মরণসভায় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন,বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবি’র কেন্দ্রীয় সদস্য ও পাটকল রক্ষায় সম্মিলিত নাগরিক পরিষদের সদস্য সচিব এস এ রশীদ, সিপিবি’র মহানগর সভাপতি ও টিইউসি’র জেলা সভাপতি এইচ এম শাহাদৎ, সিপিবি মহানগর সাধারণ সম্পাদক এড. মোঃ বাবুল হাওলাদার, সিপিবি নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা নিতাই পাল, মোস্তাফিজুর রহমান রাসেল, বাংলাদেশ যুব ইউনিয়নের খুলনা জেলা সভাপতি এড. নিত্যানন্দ ঢালী, টিইউসি নেতা রুস্তম আলী হাওলাদার, সোহরাব হোসেন সরদার, ফজলু মোল্লা, গাজী আফজাল, আব্দুর রহমান মোল্লা, দেলোয়ার হোসেন, মোঃ সাহেল হোসেন, হেলাল উদ্দিন, যুব ইউনিয়নের মহানগর সভাপতি আফজাল হোসেন রাজু, যুব ইউনিয়ন নেতা শেখ রবিউল ইসলাম রবি, প্রীতিলতা ব্রিগেডের রুমি রহমান, শাইমা আলী, ছাত্র ইউনিয়ন নেতা হুজায়ফা আলামিন, শ্রমিকনেতা শামস শারেফিন শ্যামন প্রমুখ।
স্মরণসভার শুরুতে শহীদ তাজুলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ ও তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। স্মরণসভায় বক্তারা বলেন, দেশের সব সরকারই শ্রমিকের স্বার্থ নয় বরং মালিকশ্রেণির স্বার্থ সংরক্ষণ করেছে। প্রণীত শ্রম আইন দ্বারা শ্রমিকের সাথে স্বার্থ সংরক্ষণের নামে প্রতারণা করেছে। দেশে নতুন নতুন শিল্প কারখানা স্থাপন এবং শ্রমিকের কর্মসংস্থান সৃষ্টির পরিবর্তে শিল্পবন্ধ ও শ্রমিকদের নিঃস্ব করার কাজটিই সিদ্ধ হস্তে করা হয়েছে। কার স্বার্থে সরকারগুলো দেশের স্বার্থবিরোধী এ কর্মকান্ড পরিচালনা করছে তা আমাদের বোধগম্য নয়। শ্রমিকের স্বার্থের কথা বলে শুধু ভোটই নেয়া হয়। প্রকৃত অর্থে তাদের স্বার্থের বিরুদ্ধে সচেতনভাবে অবস্থান গ্রহণ করেছে সব সরকারই। এ বিষয়ে শ্রমিকদেরকেই ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এবং শ্রমিকশ্রেণির স্বার্থ সংরক্ষণকারী প্রকৃত রাজনৈতিক শক্তি এবং শ্রমিক সংগঠন শক্তিশালী করতে হবে। অন্যথায় শ্রমিক আরও নিঃস্ব হবে।
বক্তার আরও বলেন, শ্রমিকের জাতীয় ন্যূনতম মজুরী ১০ হাজার টাকা নির্ধারণ, গণতান্ত্রিক শ্রম আইন প্রণয়ন, বন্ধ করাখানা চালু ও বকেয়া পরিশোধের আহবান জানান। নেতৃবৃন্দ বন্ধ সকল কলকারখানা চালু ও শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা আদায়ের আন্দোলনকে বেগবান করার মাধ্যমে শহীদ তাজুলের রক্তের বদলা নেয়ার আহবান জানান।সূত্র : প্রেস বিজ্ঞপ্তি।
খুলনা গেজেট/কেএম