খুলনা, বাংলাদেশ | ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২০শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

  ঢাকা থেকে উড্ডয়নের পরপরই তার্কিশ এয়ারলাইন্সের ইঞ্জিনে আগুন, জরুরি অবতরণ
  নুসরাতকে কারাগারে পাঠানো বিচার প্রক্রিয়াকে প্রহসনে পরিণত করছে : এনসিপি
  চলতি মাসেই গার্মেন্টস কর্মীদের বোনাস, জুনের শুরুতে দিতে হবে বেতন : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির উৎখাত ও পদত্যাগ চাইলো ১৩ গণসংগঠন
তবু থেমে নেই ঈদ যাত্রা

স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত, হয়রানির শিকার যাত্রীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ থাকলেও থেমে নেই বাড়ি ফেরা। বুধবার (১২ মে) সরেজমিনে নগরীর সোনাডাঙ্গা বাস স্ট্যান্ডে দেখা যায় অভ্যন্তরীণ রুটের বাসের পাশাপাশি মাইক্রো, সিএনজি, মাহেন্দ্রা এমনকি মোটরসাইকেল যোগে মানুষ বাড়ি ফিরছে।

এসব পরিবহনে যাত্রীদের ভাড়া গুণতে হচ্ছে দুই থেকে তিন গুন বেশি এবং সম্পূর্ণরূপে উপেক্ষিত হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি। অনেকেই টাকা দিয়েও হয়রানির স্বীকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন।

খায়রুল বাশার দুই মাস পর ঈদের ছুটিতে বাড়ি ফিরছেন, গন্তব্য বরিশাল। বাস না পেয়ে মাহেন্দ্রাতে উঠে বসেছেন। খুলনা থেকে বরিশাল পর্যন্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে ছয়’শ টাকা। তিনি জানান, ভাড়া বেশি হলেও ছোটো মেয়েকে দেখার জন্য ঈদে বাড়ি যাচ্ছেন।

আয়শা খাতুন দুই মেয়ে এবং স্বামীকে নিয়ে বসে আছেন সোনাডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে। ঈদ করতে যাচ্ছেন রাজশাহী শ্বশুরবাড়িতে। তবে যাত্রা পথ পাড়ি দিবেন দূরপাল্লার বাসে নয় মাইক্রোতে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কাউন্টারে থাকা ব্যক্তি জানান, “দূরপাল্লার বাস চলাচলের অনুমতি না থাকায় আমরা প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টা এবং ৭টায় দুটো মাইক্রো ছাড়ি এখান থেকে। দুটো মাইক্রোতে মোট চব্বিশটা সিট যার অর্ধেকের বেশি সিটের টিকিট বিক্রি হয়ে গিয়েছে। রাজশাহী পর্যন্ত প্রতি সিটের ভাড়া ১৫ শ টাকা।”

খবর নিয়ে জানা যায় মাইক্রো, সিএনজি, মাহেন্দ্রা, মোটরসাইকেল সব পরিবহনেই ভাড়া অনেক বেশি। খুলনা সোনাডাঙ্গা থেকে মাওয়া ঘাট পর্যন্ত মাইক্রোতে প্রতি সিটের ভাড়া সাত’শ টাকা। খুলনা থেকে যশোর সিএনজি ভাড়া প্রতি সিট আড়াই’শ টাকা। মোটরসাইকেলে এই ভাড়া আরেকটু বেশি অর্থাৎ যশোর পর্যন্ত তিন’শ টাকা ভাড়া গুনতে হচ্ছে যাত্রীদের।

ভাড়া বেশি দিয়েও অনেকেই হয়রানির স্বীকার হচ্ছেন। কাওসার, আসিফ, শিহাব এবং তাদের সহযাত্রীরা মোট ছয়জনের একটি দল চুক্তি করেছেন তাদের ফরিদপুর পর্যন্ত এসি মাইক্রোতে পৌছে দেওয়া হবে ৫ হাজার টাকার বিনিময়ে। তবে তারা এখন দেখছেন তাদের জন্য এ্যাম্বুলেন্স নিয়ে আসা হয়েছে। পরিবহণ শ্রমিকদের সাথে এই নিয়ে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন যাত্রীরা।

কাওসার বলেন, “আমাদেরকে বলেছে এসি মাইক্রোতে ফরিদপুর নিয়ে যাবে। আমরা অগ্রীম পাঁচ হাজার টাকাও তাদের দিয়েছি। দুই ঘন্টা বসিয়ে রেখে এখন তারা এসি মাইক্রো না এনে এ্যাম্বুলেন্সে উঠে যেতে বলছে। টাকা ফেরত চাইলে সেটিও তারা দিতে রাজি হচ্ছেন না।”

 

খুলনা গেজেট/এমএইচবি




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!