মহামারী করোনা পরিস্থিতির কারণে কিছুদিন বন্ধ থাকলেও স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে যশোরের মণিরামপুরে বাসা-বাড়ির পাশাপাশি অলিতে-গলিতে এবং বন্ধ থাকা কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কক্ষে পুনরায় শুরু হয়েছে প্রাইভেট ও কোচিং বাণিজ্য।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারি না থাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার সুযোগে কিছু শিক্ষক ও কোচিং সেন্টার পরিচালনাকারী যুবকরা নিজ বাড়িসহ ঘর ভাড়া নিয়ে প্রাইভেট-কোচিং বাণিজ্য চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অধিকাংশ অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চলমান করোনা পরিস্থিতির মধ্যে অনলাইনে ক্লাস চললেও পৌর শহরের তাহেরপুর বকুলতলা ও আকুঞ্জি মসজিদের আশ-পাশসহ পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থানে ঘর ভাড়া নিয়ে সাইনবোর্ড বিহীন একাধিক নতুন কোচিং সেন্টার গড়ে উঠেছে। এসব স্থানে প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে দুপুর পর্যন্ত মাস্ক বিহীন দলে দলে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে স্বলপরিসরে হাই বেঞ্চে গাদা-গাদি করে কোচিং পড়ানো হচ্ছে। আবার, অনেক স্থানে বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা নাগাদ কোন প্রকার স্বাস্থ্যবিধি না মেনে কোচিং পড়ানো কাজ চালানো হচ্ছে।
অপরদিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার সুযোগে অনেক শিক্ষকের বাড়িতে এবং শিক্ষার্থীদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে প্রাইভেট বাণিজ্য চালানো হচ্ছে। অথচ, করোনা পরিস্থিতির কথা চিন্তা করে অধিকাংশ শিক্ষার্থীরা নানা দুশ্চিন্তা মাথায় নিয়ে বাসা-বাড়ি থেকে বের হওয়ার সুযোগ না থাকায় অভিভাবকরা পড়েছেন মহা চিন্তায়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে, অধিকাংশ অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা মন্তব্য করে বলেন, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে বেশ কিছু স্থানে কোচিং ও প্রাইভেট পড়ানোর কারণে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি তৈরী হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে শুধু পৌর এলাকায় নয়, উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে চলমান করোনা পরিস্থিতির মধ্যে পূর্বের ন্যায় প্রাইভেট পড়াতে বন্ধ থাকা কিছু কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কক্ষ ব্যবহার করা হচ্ছে।
খুলনা গেজেট/কেএম