খুলনা হেলথ গার্ডেন নামক একটি প্রাইভেট ক্লিনিকের নিজস্ব চেম্বার থেকে বিপুল পরিমান ইয়াবা ও গাঁজা উদ্ধারের ঘটনায় স্বাচিপ নেতা ডাঃ সুমন ও তার সহযোগী আসাদুজ্জামান হিরার নামে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। একই ঘটনায় আটক নারী সহকারী অথৈকে ৭ মাসের জেল ও ৫০০ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। একই সাথে চেম্বারটি সিলগালা করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ডাঃ সুমন রায় ও আসাদুজ্জামান হিরা পরস্পরের সহযোগিতায় বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে বিপুল পরিমান ইয়াবা ও গাঁজা সংরক্ষণ করে। গোয়েন্দা অনুসন্ধানের মাধ্যমে নগরীর ছোটবয়রা এলাকায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে হেলথ গার্ডেন থেকে নিজস্ব মালিকানাধীন চেম্বার থেকে ১৬৫০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। যার বাজার মূল্য আনুমানিক ৪ লাখ ৯৫ হাজার টাকা। আর উদ্ধারকৃত গাঁজার মূল্য ৩ হাজার টাকা। একই সাথে সেখান থেকে নগদ ১ লাখ ৩০ হাজার টাকার উদ্ধার করা হয়।
জেলা প্রশাসনের মিডিয়া সেলের সূত্রে জানা যায়, রবিবার রাতে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে অবস্থিত খুলনা হেলথ গার্ডেন নামক একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে মাদকের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্টের অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দেবাশীষ বসাক ও এস এম রাসেল ইসলাম নূর। অভিযান পরিচালনাকালে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর হেলথ কেয়ার প্রাইভেট ক্লিনিকে ডা. সুমন রায়ের চেম্বারে বিধিমোতাবেক তল্লাশী করলে বিপুল পরিমান ইয়াবা ট্যাবলেট এবং নগদ ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা, মদের বোতল, গাঁজা ও ইয়াবা সেবনের সরঞ্জামাদি উদ্ধার হয়। চেম্বারে একজন বহিরাগত ইয়াবা বিক্রেতাকে হাতেনাতে আটক করা হয় এবং পাশের অপর একটি কক্ষে ডা. সুমন রায়ের একজন মহিলা সহযোগীকে গাঁজা সেবনরত অবস্থায় পাওয়া যায়। কর্তব্যরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দেবাশীষ বসাক ওই নারী সহযোগীকে গাঁজা সেবনের দায়ে ৭ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড প্রদান করেন। একই সাথে চেম্বার বিধমোতাবেক সিলগালা করেন কর্তব্যরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দেবাশীষ বসাক। মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, খুলনা এবং সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশ সহযোগিতা করেন।
খুলনা গেজেট / এমবিএইচ/এমএম