যশোর সদর উপজেলার নারাঙ্গালী গ্রামের প্রবাসীর স্ত্রী মিনা খাতুনকে হত্যার অভিযোগে শ্বশুর, শ্যালক ও চাচা শ্বশুরসহ সাতজনকে আসামি করে আদালতে মামলা করেছেন স্বামী।
মঙ্গলবার নারাঙ্গালী গ্রামের হোসেনের ছেলে মালদ্বীপ প্রবাসী আল-আমিন হোসেন বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক পলাশ কুমার দালাল অভিযোগটি সিআইডি পুলিশকে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন।
মামলার আসামিরা হলেন, মিনা খাতুনের পিতা যশোর সদর উপজেলার করিচিয়া গ্রামের ইফাজ মোল্লা, ভাই ওবাইদুল মোল্লা, চাচা জাকির হোসেন, আকবর হোসেন, রবিউল ইসলাম, মামা বড়মেঘলা গ্রামের রফিকুল ইসলাম ও দুলাভাই ঝিকরগাছার ফারাসাতপুর গ্রামের মিন্টু মুন্সি।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, নারাঙ্গালী গ্রামের আল-আমিন হোসেন ২০১৩ সালের ৩ মার্চ চাকরি নিয়ে মালদ্বীপে যান। দেশে ফিরে ২০২০ সালের ২৩ মার্চ বিয়ে করেন। পরে তিনি ফের মালদ্বীপ চলে যান। এরমধ্যে তার স্ত্রী মিনার গর্ভে সন্তান আসে। মিনা এ সময় তার শ্বশুর বাড়ি ও পিতার বাড়িতে যাতায়াত করতো। মিনার খরচ বাবদ শ্যালক ওবাইদুলের বিকাশের মাধ্যমে সাড়ে চার লাখ টাকা দেয়া হয়। গত বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি মিনা পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। গত বছরের পহেলা জুলাই রাত ১০টায় মিনা আল-আমিন হোসেনের মোবাইল ফোনের ইমোতে ভয়েজ এসএমএস দিয়ে তার কাফনের কাপড়ের জন্য টাকা পাঠাতে বলেন। তিনি সাথে সাথে তার স্ত্রীর ফোনে কল দিয়ে বন্ধ পান। এরপর বিষয়টি তার শ্বশুরকে জানান। খোঁজাখুঁজির পর শ্বশুরবাড়ির লোকজন ঘরের পাশে জাম গাছে গলায় ওড়না পেঁচানো ঝুলন্ত অবস্থায় মিনাকে পাওয়া যায়। দ্রæত তাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন মিনা মারা যান।
তিনি অভিযোগ করেন ভিডিও কলে স্ত্রীর লাশ দেখতে চাইলেও আসামিরা পরিকল্পিতভাবে তার লাশ দেখতে দেয়নি। তার অভিযোগ, আসামিরা গহণা ও টাকা আত্মসাৎ করে মিনাকে অন্যত্র বিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছিল। মিনা বিষয়টি মেনে না নেয়ায় আসামিরা পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করে গাছে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার করে।