যশোরে স্ত্রীর পরকীয়ার কারণেই খুন হন স্কেভেটর শ্রমিক ইস্রাফিল হোসেন মান্নাত। তার ভগ্নিপতি শাহ আলমসহ ৭জন ওই হত্যাকান্ডে জড়িত। এদেরমধ্যে ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। একইসাথে উদ্ধার করা হয়েছে হত্যায় ব্যবহৃত লোহার পাইপ, ইট ও মোটরসাইকেল। সোমবার দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়।
আটককৃতরা হলো, যশোর সদর উপজেলার মাহিদিয়া গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে আল আমিন, শহরের পুরাতন কসবা কাঠালতলা নান্টুর বাগান এলাকার আবু তাহেরের ছেলে রিফাত, সুজলপুরের আব্দুর রশিদের ছেলে রায়হান শেখ ও শফিকুল ইসলামের ছেলে নয়ন হোসেন।
হত্যার বিষয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ আশরাফ হোসেন বলেন, গত ২৩ অক্টোবর রাতে নিজের বাইসাইকেল নিয়ে বের হয়েছিলেন মাটিকাটা স্কেভেটরের হেলপার মান্নাত। এরপর রাতে আর বাড়ি ফেরেননি তিনি। পরদিন সকালে কারবালা এলাকার রাস্তার পাশ থেকে তার মাথা থেতলানো মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের মা আনোয়ারা বেগম কোতয়ালি থানায় মামলা করেন। এরপর ডিবি পুলিশ মামলাটি তদন্ত শুরু করে।
ব্রিফিং এ পুলিশ সুপার আরো জানান, মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে গত রোববার যশোর সদর ও অভয়নগর উপজেলায় অভিযান চালিয়ে হত্যাকান্ডে জড়িত আল আমিন, রায়হান শেখ, রিফাত ও নয়ন হোসেন নামে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক হত্যায় ব্যবহৃত লোহার পাইপ, ইট ও মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
আটককৃতরা জানিয়েছে, নিহত মান্নাতের সাথে ভগ্নিপতি শাহ আলমের স্ত্রীর পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। এ নিয়ে গোলযোগের জের ধরে শাহ আলম তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। হত্যায় জড়িত শাহ আলমসহ অপর তিনজনকে ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান পুলিশ সুপার। ব্রিফিং এ উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গোলাম রব্বানী, তৌহিদুল ইসলাম, জামাল আল নাসের, অপু সরোয়ার, সহকারী পুলিশ সুপার মনিরামপুর সার্কেলের শোয়েব আহম্মেদ খাঁন, নাভারন সার্কেলের জুয়েল ইমরান, যশোর কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মনিরুজ্জামান ও ডিবির ইন্সপেক্টর মাসুম কাজী।
খুলনা গেজেট/এমবিএইচ