খুলনার তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী অঙ্কিতা দে ছোঁয়া হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে পুলিশ তৎপর রয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের ৬ জনকে থানায় আনা হয়েছে। এর আগে, অপহরণের অভিযোগে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই ২ জনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে অঙ্কিতাকে রূপসা শ্মশানের সমাহিত করা হয়।
শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) বিকেলে খুলনার দৌলতপুর থানার পাবলা বনিক পাড়া এলাকায় খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয় তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী অংকিতা দে। এ ঘটনায় প্রথমে সাধারণ ডায়েরি ও পরবর্তীতে অপহরণ মামলা করেন অঙ্কিতা বাবা সুশান্ত দে। মামলার পর পুলিশ একই এলাকার জাহাঙ্গীর ও তার স্ত্রী রিক্তাকে গ্রেফতার করে। জাহাঙ্গীর ও তার স্ত্রী রিক্তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। পরদিন ওই এলাকার একটি ভবনের নিচতলার শৌচাগার থেকে উদ্ধার হয় অঙ্কিতার বস্তাবন্দি মরদেহ। এরপর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বীণাপানি ভবনের মালিক প্রভাত রুদ্র, পার্লারের মালিক মুক্তিসহ ছয়জনকে আটক করেছে। তাদেরকে থানায় রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় সৃষ্টি হয় চাঞ্চল্য, নেমে আসে শোকের ছায়া। ওই ভবনের ছাদে পাওয়া যায় রক্তের চিহ্ন। এছাড়া পরিবারটির সাথে কারো দ্বন্দ্ব না থাকায় তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের চিহ্নিত করতে কয়েকটি ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করছে পুলিশ।
নিহত অঙ্কিতার বাবা দৌলতপুর পাবলার বণিকপাড়ার বাসিন্দা সুশান্ত দে বলেন, আমার কোনো শত্রু ছিলো না। আমার অবুঝ মেয়েকে কে বা কারা হত্যা করেছে তা আমি বুঝতে পারছি না। মেয়ের মরদেহ যেখানে যাওয়া গেছে আমার বাসা থেকে তা একশত গজ দূরে। আমার দুই মেয়ে। বড় মেয়ে নবম শ্রেণিতে পড়ে। ও খুব শান্ত সবসময় ঘরে থাকে। ছোঁয়া খুব চঞ্চল ও খেলা প্রিয় ছিল। সারাদিন ছোটাছুটি করতো। মেয়ের হত্যার বিচার চাই।
দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাসান আল মামুন জানান, ডাক্তারের সাথে কথা বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে- শিশুটি নিখোঁজের দিনই হত্যা করা হয়েছে। তবে ময়না তদন্ত রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না, তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে কিনা। গত ২৬ জানুয়ারি অপহরণের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় জাহাঙ্গীর ও তার স্ত্রী রিক্তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। আর ছয় জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। মামলার ধারা পরিবর্তন করা হবে।