যশোর শহরের স্বর্ণপট্টি থেকে সোনা ছিনতাইকারী চক্রের তিন সদস্যকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ৫০ ভরি সোনা, রাইফেল ও ম্যাগজিন। একমাস আগে শহরতলীর সতীঘাটা এলাকা থেকে ছিনতাই হওয়া ৭৪ ভরি সোনার মধ্যে ৫০ ভরি এ সোনা উদ্ধার হয়েছে। বাকিগুলো উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
শনিবার বিকেলে যশোরের স্বর্ণপট্টিতে অভিযান চালায় গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল। কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই দুটি জুয়েলারিতে প্রবেশ করে ডিবি পুলিশ। এসময় তারা আটক করে সোনা ছিনতাইয়ের সাথে জড়িত দু’জনকে। তাদের নিয়ে অভিযান চলে জুয়েলারির দোকান জিএম গোল্ডে। সেখান থেকে আটক করা হয় প্রতিষ্ঠানটির মালিক বাবু দত্তকে। তার স্বীকারোক্তিতে অভিযান চলে নিলয় জুয়েলার্স ও বিশ্বরূপ জুয়েলার্সে। নিলয় থেকে উদ্ধার হয় ৩০ ভরি ও বিশ্বরূপ থেকে ২০ ভরি ছিনতাইকৃত সোনা।
আটক ছিনতাইকারীরা হলো, সাইফুল ইসলাম ও শাহারিয়ার।
রোববার যশোর ডিবি পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ২৯ ডিসেম্বর সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা বাজারের আরাধ্য জুয়েলার্সের মালিক রণজিত দের ছেলে গোপী দে যশোর শহরের ষষ্ঠীতলার সোনা ব্যবসায়ী সঞ্জয় ঘোষের কাছ থেকে ৭৪ ভরি সোনা কিনে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে যশোর-মণিরামপুর সড়কের সতীঘাটায় দুটি প্রাইভেটকারে করে দুর্বৃত্তরা তার গতিরোধ করে এবং মারপিট করে ৭৪ ভরি সোনা ছিনতাই করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় রনজিত দে কোতয়ালি থানায় মামলা করেন।
ডিবি আরও জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার দুপুরে যশোর শহরের পৃথক স্থানে অভিযান চালিয়ে সোনা ছিনতাইয়ের সাথে জড়িত সাইফুল ইসলাম ও শাহারিয়ার নামে দুই যুবককে আটক করা হয়। এরপর তাদের স্বীকারোক্তিতে শহরের চুড়িপট্টি মোড়ের জিএম গোল্ড জুয়েলারি দোকানে অভিযান চালিয়ে প্রতিষ্ঠানের মালিক বাবু দত্তকে আটক করা হয়। বাবু দত্ত ওই ছিনতাইকারীদের কাছ থেকে ৫০ ভরি সোনা কিনেছিলেন।
জিজ্ঞাসাবাদে বাবু দত্ত ডিবি পুলিশকে জানায়, তিনি একই এলাকার নিলয় জুয়েলার্সে ৩০ ভরি ও বিশ্বরুপ জুয়েলার্সে ২০ ভরি সোনা বিক্রি করেছেন। পরে তার দেয়া স্বীকারোক্তিতে নিলয় জুয়েলার্স ও বিশ্বরূপ জুয়েলার্স থেকে ওই ৫০ ভরি সোনা উদ্ধার করা হয়। এরপর রোববার সকালে তাদের স্বীকারোক্তিতে একটি টুটু বোরের রাইফেল, দুটি ম্যাগজিন, ১৫শ’ রাউন্ড গুলি, ২৮টি গুলির খোসা ও একটি মাইক্রোবাস উদ্ধার করা হয়। সূত্র আরও জানায়, ছিনতাই হওয়া বাকি ২৪ ভরি সোনা অপর এক ছিনতাইকারীর কাছে রয়েছে। যা খুব দ্রুতই উদ্ধার করা সম্ভব হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
খুলনা গেজেট/ এসজেড