নাশকতা মামলায় সোনাডাঙ্গা থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মুুরাদসহ ৪৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন হয়েছে। বৃহস্পতিবার খুলনা বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতে এ চার্জ গঠন করা হয়।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১৭ সালের ১২ অক্টোবর দেশব্যাপী হরতাল চলাকালীন পুলিশ গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে যে, সোনাডাঙ্গা থানাধীন দারুল আমান মহল্লায় শেখ মোসলেম আলীর বাড়িতে সরকার উচ্ছেদ, কেপিআই ধ্বংস ও নাশকতা করার উদ্দেশ্যে জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত হয়েছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। পুলিশের অভিযানের বিষয়টি আচ করতে পেরে সেখানকার উপস্থিত সদস্যরা পালিয়ে যায়। এ সময় কয়েকজন আসামি পুলিশের কাছে আটক হয়। তাদের কাছ থেকে জিহাদী বই, নাশকতায় উষ্কানী দেওয়া ও ক্ষতিকর কাজে উদ্বুদ্ধকরণ বই এবং জামায়াতের সদস্য সংগ্রহ ও সদস্যদের নিকট হইতে চাঁদা আদায়ের বই উদ্ধার করা হয়। ধৃত আসামিদের মধ্যে কয়েকজন আঘাতপ্রাপ্ত হলে তাদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে ওইদিন সোনাডাঙ্গা থানার এসআই সঞ্জিত কুমার মন্ডল বাদী হয়ে ৪৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনাম আরও ১২ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন। ২০১৮ সালের ১৫ অক্টোবর সোনাডাঙ্গা থানার এস আই রহিত কুমার আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
এ ব্যাপারে সোনাডাঙ্গা থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মুরাদ বলেন, এটা সম্পূর্ণ একটি মিথ্যা মামলা। সরকার বিরোধী পক্ষকে দমন করার জন্য একের পর এক মিথ্যা মামলা দিচ্ছে। এ ঘটনার সাথে আমি জড়িত নই। আমাকে উদ্দেশ্যেপ্রণোদিতভাবে এ মামলায় জড়ানো হয়েছে। শরীফুল নামে একটি ছেলে আছেন যিনি বাংলাদেশ আওয়ামী ছাত্র রাজনীতির সাথে জড়িত। তাকেও এ মামলায় আসামি করা হয়েছে। ন্যায় বিচার হলে তিনি খালাস পাবেন বলে জানান তিনি।
খুলনা গেজেট/ টি আই