ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে কোথাও কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সাতক্ষীরা পৌরসভায় ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। এখন চলছে ভোট গণনার কাজ। রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে ইলেকট্রনিক্স ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এ ভোট গ্রহণ শুরু হয়। নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে প্রতিটি কেন্দ্রই অধিক গুরুত্বপূর্ণ দেখিয়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োজিত করা হয়।
ভোট গ্রহণের শুরুতেই পৌরসভার প্রায় প্রতিটি কেন্দ্রে ভোটারদের দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। তবে সকালে কেন্দ্রে নারী ভোটারের উপস্থিতি ছিল সবচেয়ে বেশী। বেলা বাড়ার সাথে কেন্দ্র গুলো নারী ভোটারের পাশপাশি পুরুষ ভোটারের সংখ্যা বাড়তে থাকে। ভোট গ্রহণ শুরুর প্রায় আধা ঘন্টা আগে থেকেই নারীরা কেন্দ্রের সামনে এসে ভীড় জমান। কোন প্রকার বাধা বিঘ্ন ছাড়াই ভোটারা নির্বিঘ্নে কেন্দ্রে গিয়ে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। পৌরসভার প্রায় সব ভোট কেন্দ্রের পরিস্থিতি ছিল খুবই স্বাভাবিক।
সকাল থেকে সাতক্ষীরা শহরের পিটিআই কেন্দ্র, পিএন হাইস্কুল এন্ড কলেজ, সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, পলাশপোল হাই স্কুল, পুলিশ লাইন হাইস্কুল, রসুলপুর হাইস্কুল, সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে, পল্লীমঙ্গল স্কুল এন্ড কলেজ, হরিতলা প্রাইমারী স্কুল, কারিমা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আলিয়া মাদ্রসা কেন্দ্রেসহ বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে ঘুরে দেখা গেছে ভোটারা দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিচ্ছেন। প্রতিটি কেন্দ্রে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর উপস্থিতি ও তাদের ভুমিকা ছিল প্রশংসনীয়।
পুলিশ লাইন হাইস্কুল কেন্দ্রে ভোট প্রদানকারি পৌর শহরের পলাশপোল এলাকারা সিরাজুল ইসলাম জানান, ভোট কেন্দ্রর পরিবেশ খুবই সুন্দর। নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পেরেছি। তবে ইভিএম এর কারনে ভোট গ্রহণ একটু ধীরে হচ্ছে। সাতক্ষীরা সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট প্রদানকারী ব্যবসায়ি দীন বন্ধু মিত্র জানান, নির্বিঘ্নে ভোট দিয়েছে। ভোট গ্রহণ সুষ্ঠু হচ্ছে। আমার মত অন্য ভোটাররা স্বতস্ফুর্ত ভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে তাদের ভোট দিতে পেরেছেন। ভোট গ্রহণের পরিবেশ ছিল সন্তোজনক।
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা নাজমুল কবীর জানান, প্রতিটি কেন্দ্রে ১জন এসআই এর নেতৃত্বে ৪জন পুলিশ ও ৯জন আনসার সদস্য দেয়া হয়। এছাড়াও একজন করে ইন্সপেক্টরের নেতৃত্বে ৯টি মোবাইল টিম ও ৩টি স্ট্রাইকিং ফোর্স কাজ করেছে। একই সাথে ৩ প্লাটুন বিজিবি ও ২৪ জন র্যাব সদস্য ম্যাজিস্ট্রেট এর নেতৃত্বে টহল দিয়েছে। এছাড়াও মাঠে সার্বক্ষনিক দায়িত্বে ছিলেন একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। এবারের পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে ৫জন, কাউন্সিলর পদে ৫১ জন ও নারী কাউন্সিলর (সংরক্ষিত) পদে ১২জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে মোট ভোটারের সংখ্যা ৮৯ হাজার ২২৪ জন। পৌরসভার ৩৭ টি কেন্দ্রের ২৪৮টি কক্ষে ভোটাররা ভোট প্রদান করছেন।
খুলনা গেজেট/ টি আই