নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা।।
নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে সুন্দরবনের সংরক্ষিত এলাকায় কাঁকড়া শিকারের অভিযোগে ১৫ জেলেকে আটক করেছে বনবিভাগ। শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) ভোর রাত ২টার দিকে পশ্চিম সুন্দরবনের বড় বৈকারী খাল ও মাহমুদা নদীতে পৃথক অভিযান চালিয়ে বুড়িগোয়ালিনী বনস্টেশন অফিসের সদস্যরা তাদেরকে আটক করে। এসময় জেলেদের ব্যবহৃত ৫টি নৌকা ও ৭৫টি আটন সহ কাঁকড়া ধরার বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।

আটক জেলেদের মধ্যে ৯ জনের কাছ থেকে বন আইনে ১ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে (সিওআর) মুক্তি দেয়া হয়। বাকি ৬ জেলেকে বন আইনে (পিওআর) মামলা দিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

আটক জেলেরা হলে, সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার কৈখালী গ্রামের ছবেদ আলী গাজীর ছেলে সুন্নত গাজী, মাজেদ গাজীর ছেলে খায়ের গাজী, রমজান গাজীর ছেলে কুদ্দুস গাজী, মরাগাং গ্রামের জহুর মিস্ত্রীর ছেলে আব্দুল জলিল মিস্ত্রী, পার্শ্বেখালী গ্রামের নেকবত গাজীর ছেলে রাশিদুল গাজী, মোহর আলী গাইনের ছেলে নজরুল ইসলাম গাইন, খালেক মোল্যার ছেলে আব্দুস সালাম, জব্বার গাজীর ছেলে আব্দুল আলিম, যতীন্দ্রনগর গ্রামের ছবেদ আলী মোল্যার ছেলে গফুর মোল্যা, গফুর মোল্যার ছেলে ফয়জুল্যাহ, ছোটভেটখালী গ্রামের ইসমাইল গাজীর ছেলে নওশের গাজী, কেরামত গাজীর ছেলে কওছার গাজী, শাহাদাৎ মোড়লের ছেলে আমিরুল মোড়ল এবং খুলনার কয়রা উপজেলার বোতল বাজার গ্রামের মহিউদ্দীন শেখের ছেলে শফিকুল ইসলাম ও জামির উদ্দীন গাজীর ছেলে আজিবর গাজী।

বনবিভাগ সূত্র জানায়, নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে সুন্দরবনের সংরক্ষিত (অভয়ারণ্য) এলাকায় ঢুকে বেশ কয়েকজন জেলে কাঁকড়া ধরছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার ভোর রাত ২টার দিকে বুড়িগোয়ালিনী বনস্টেশন অফিসার (এসও) নূর আলমের নেতৃত্বে বনকর্মীরা সুন্দরবনে অভিযান চালায়। এসময় বুড়িগোয়ালিনী বনস্টেশন অফিসার (এসও) নূর আলমের নেতৃত্বে বনকর্মীরা সুন্দরবনের বড় বৈকারী খাল ও মাহমুদা নদী তে পৃথক অভিযান চালিয়ে ১৫ জেলেকে আটক করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৫টি নৌকা, ৭৫টি আটনসহ কাঁকড়া ধরার বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করে বনকর্মীরা।

সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) এ,কে,এম ইকবাল হোসেন চৌধুরী ১৫ জেলেকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সুন্দরবনে সংরক্ষিত এলাকায় জেলেদের প্রবেশ নিষিদ্ধ। কিন্তু ওই জেলেরা গোপনে সংরক্ষিত এলাকায় অবৈধভাবে প্রবেশ করে কাঁকড়া ধরার সময় জানতে পেরে তাদের আটক করা হয়। আটক জেলেদের ৯জনকে বন আইনে সোয়া লাখ টাকা জরিমানা করে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বাকি জেলেদের বন আইনে মামলা দিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।