সুন্দরবনের অভয়ারণ্যে প্রবেশ করে মাছ শিকারের অভিযোগে পৃথক দু’টি অভিযানে নয় জেলেকে আটক করেছে বনবিভাগের নোটাবেঁকী টহল ফাঁড়ির সদস্যরা।
বুধবার (৪ অক্টোবর) বেলা ১ টায় পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের আওতাধীন নোটাবেঁকীর চামটা এলাকা ও মঙ্গলবার রাতে কলাগাছিয়ার খলিশাবুনিয়া থেকে তাদের আটক করা হয়। এসময় সুন্দরবনের নদ-নদীতে ব্যবহার নিষিদ্ধ চরপাটা ও খালপাটা জালসহ পাঁচটি নৌকা জব্দ করা হয়।
আটককৃত জেলেরা হলো খুলনার কয়রা উপজেলার মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের আব্দুল গফুর সানা, তার ছেলে মিরাজুল ইসলাম, আজিজুল ইসলাম গাজী, জয়নাল গাজী, লুৎফর বিশ্বাস, হাবিবুল্লাহ সানা এবং সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার নাপিতখালী গ্রামের রবিউল হাওলাদার, বিল্লাল হোসেন ও চাঁদনীমু গ্রামের মোক্তার হোসেন। প্রথম ছয়জনকে বুধবার দুপুরের দিকে আটক করা হয়।
সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) ইকবাল হোসাইন চৌধুরী জানান, নোটাবেঁকী টহল ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ শাহাদাৎ হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভয়ারণ্য এলাকায় অভিযান চালিয়ে বুধবার দুপুর ও মঙ্গলবার রাতে দু’দফায় নয় জন জেলেকে আটক করে।
এছাড়া মঙ্গলবার রাত তিনটার দিকে বুড়িগোয়ালীনি ষ্টেশনের অপর একটি অভিযানে চৌদ্দরশি ব্রিজ এলাকা থেকে দুটি ট্রলারভর্তি ছোট কাঁকড়াসহ চার জেলেকে আটক করা হয়।
উদ্ধারকৃত প্রায় দুই হাজার কেজি ছোট কাঁকড়া সুন্দরবনে অবমুক্ত করার পাশাপাশি ট্রলার দু’টি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে জানান তিনি ।
বনবিভাগের এ কর্মকর্তা আরও জানান, ছোট কাঁকড়া শিকারের ক্ষেত্রে বিধি নিষেধ থাকা সত্ত্বেও আটকৃত জেলে লুকিয়ে এসব কাঁকড়া শিকার করেছিল। মঙ্গলবার রাতে কাঁকড়া ও মাছ শিকারের সাথে জড়িত আটক সাত জেলেকে সিআর মামলায় এক লাখ সত্তর হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে আটক ছয় জেলে ও চারটি নৌকা নিয়ে অভিযানে থাকা দলের সদস্যরা লোকালয়ে ফিরলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
খুলনা গেজেট/ এএজে